♦জসিম মাহমুদ♦
মাত্র তিনমাস আগে ঘর বেধেছিলেন চিকিৎসক দম্পতি রুম্পা-ফারুক। স্বপ্ন ছিল ভালো একটা চাকরির, সুন্দর ভবিষ্যতের। কিন্তু ঘাতক বাস কেড়ে নিলো তাদের সব আলো। রাজধানীর বিজয় সরণিতে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় নিহত হন চিকিৎসক আক্তার জাহান রুম্পা। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে সিলেট থেকে ঢাকা এসেছিলেন তিনি।
নতুন জীবন সাজাতে তিন মাস আগে বিয়ে করেছিলেন চট্টগ্রামের হালি শহরের মেয়ে চিকিৎসক আক্তার জাহান রুম্পা। জীবিকার প্রয়োজনে থাকতেন সিলেট। সেখানকার ওসমানী নগর বার্ড আই হাসপাতালে নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন তিনি। সোমবার রাতে ধানমন্ডির বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালে চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য সিলেট থেকে এসে পৌঁছান মহাখালী বাস টার্মিনালে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে যাচ্ছিলেন শ্যামলীতে। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় বিজয় সরণিতে বেপরোয়া এক বাসের ধাক্কা দেয় রুম্পার অটোরিকশাকে। গুরুতর অবস্থায় তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ভোর সোয়া ৫ টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর চট্টগ্রামে তার বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। রূপার মা বলেন, আমার কলিজাটা কেটে দেখাতে পারলে বুঝাতে পারতাম। আরো কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয় । আমার একটাই মেয়ে।’ রূপার বাবা বলেন, পাখির মত মানুষ মরছে সড়ক দুর্ঘটনায়। বেপরোয়াভাবে বাস চালানোর কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে নাহলে আমার মেয়ের তো কোন দোষ নেই।’ একই পেশায় কর্মরত তার স্বামী চিকিৎসক কাজী মোহাম্মদ মোহসিন ফারুক। তিনিও স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা জন্য ঢাকায় আসেন সোমবার ভোর রাতে। অভিযোগ পেলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘাতক বাসকে আটক করা সম্ভব বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ বলেন, ‘বাসটিকে এখনো আটক করা যায়নি। আত্মীয় স্বজনের অভিযোগ এখনও পায়নি। অভিযোগ পেলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘাতক বাসটিকে আটক করবো।’ চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি মেডিকেল ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করেন আক্তার জাহান রুম্পা।