নিউজ ডেস্ক।। সাভারে ১১ বছরের গৃহকর্মীকে ৬ মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ঝাউচর মধ্যপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেছে (মামলা নং-১৫ (৪)১৯)। শিশুটির বাবা ফজলুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তার ভায়রার ছেলে আল-আমিন অভিযুক্ত ওমর ফারুকের বাড়ির পাশে বসবাস করে। এরই সূত্র ধরে তিন বছর পূর্বে আল-আমিনের মাধ্যমে ওমর ফারুকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ শুরু করে তার মেয়ে।
কিন্তু এই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে এলেও শিশুটিকে কোনো পারিশ্রমিক প্রদান করেনি ফারুক। তাই মেয়েকে ওই বাসা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিকবার গেলেও ওমর ফারুক বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ফজলুল হককে তাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে গত বুধবার মেয়েকে আনার জন্য ওমর ফারুকের বাসায় গেলে মেয়েকে একটি কক্ষের মধ্যে তালাবদ্ধ এবং অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার মেয়ে জানায়, গৃহকর্তা ওমর ফারুক গত ৬ মাস যাবৎ ধর্ষণ করে আসছে। তার মেয়ে বিষয়টি ওমর ফারুকের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা শিমুকে জানালে তিনি উল্টো বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং মারধর করে।
মেয়ের কাছ থেকে নির্যাতনের বিষয়টি জানার পর ফজলুল হক বুধবার অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা শিমুকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সওগাতুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মামলা দায়েরের পর ওই দিনই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্তা ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটানায় অপর আসামি রাজিয়া সুলতানা পালাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক হিসেবেও পরিচয় দেয়। ভুক্তভোগী শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উৎস: বিডি-প্রতিদিন।