ফরিদপুরের সালথায় চাচার জায়গার মেহেগুনি গাছ জোর করে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে দুই পরিবারের মাঝে চলছে উত্তেজনা। বর্তমানে উত্তেজনা আরও তীব্র হওয়ায় যেকোনো সময় তারা জড়াতে পারেন মারামারিতে। এমন পরিস্থিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রতিবেশীরা।
জানা গেছে- প্রায় চার মাস আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের সামচুল হক হিরু কাজীর জায়গার বেশ কয়েকটি মেহেগুনি গাছ কেটে নেয় ভাতিজা মো. দেলোয়ার কাজী। দেলোয়ার কাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
হিরু কাজী অভিযোগ বলেন, পাশের বাউষখালী গ্রামে আমার ১৩ শতাংশ জমিতে মেহেগুনি গাছের বাগান করেছিলাম। গাছগুলো অনেক বড় বড় হয়েছিল। আমার ভাতিজা দেলোয়ার কাজী আমার কাছে কিছু টাকা দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় তিনি তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কয়েক মাস আগে আমার ওই বাগান থেকে ১০টি মেহেগুনি গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে ফেলে। পরে গাছ বিক্রির টাকা ফেরত দিতে চাইলেও আর দেয়নি। আমরা নিরহ মানুষ কোনো ঝামেলায় যায়নি। কিন্তু এখন আবার নতুন করে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, যাতে গাছের বিষয় আমরা মুখ না খুলি। তিনি বলেন- বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দেলোয়ার এছাড়াও এলাকায় নিরিহ লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের কাছে টাকা-পয়সা দাবি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার কাজী বলেন- আমার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়া দিয়েছেন আমার চাচা। আমি গাছ কাটার বিষয় কিছুই জানি না।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদীক বলেন, গাছ কাটার বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।