অভিনব কায়দায় সাধারণ চালকে ‘ম্যাগনেটিক চাল’ বলে বিক্রি করার সময় প্রতারক চক্রের সদস্য ক্ষীতিশ বিশ্বাস (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাতে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাংলাদেশ হ্যাচারিজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্ষীতিশ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শালিনাবক্স গ্রামের মারকন্ঠ বিশ্বাসের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি বলেন, কিছুদিন যাবৎ একটি প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় সাধারণ চালকে অতি উচ্চমূল্যের ‘ম্যাগনেটিক চাল’ বলে প্রতারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
আরও বলেন, প্রতারণার কাজে তারা গবেষণাগার, ওষুধ কোম্পানি ও মেডিকেলে ব্যবহৃত ভায়াল ও মাইক্রো সেন্ট্রিফিউজ টিউবে অতি আকর্ষণীয় করে সুকৌশলে একটি চাল স্থাপন করে এটিকে ‘ম্যাগনেটিক চাল’ বলে প্রচার করে। এমনকি ভায়াল ও মাইক্রো সেন্ট্রিফিউজ টিউবগুলোকে সুন্দরভাবে, সুকৌশলে কয়েকটি স্তরে কাগজ, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে পেঁচিয়ে রাখতেন। আর সব কিছুর ওপরে টেপ পেঁচিয়ে আকর্ষণীয় করে তা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গতকাল বুধবার রাতে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাংলাদেশ হ্যাচারিজের সামনে থেকে প্রতারক চক্রের সদস্য ক্ষীতিশ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাচ থেকে ৫ প্যাকেট প্রতারণা সরঞ্জামসহ ২৮টি ২ মিলি লিটার আকারের ভায়াল ও সাতটি মাইক্রো সেন্ট্রিফিউজ টিউব পাওয়া যায়। যার প্রতিটির মধ্যে একটি সাধারণ চাল পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চক্রে জড়িত অন্যান্য সদস্যকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন রাবজাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার প্রমুখ।