৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীতে স্মৃতি ইসলামের দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় ফরিদপুর বিভাগীয় টিম ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের প্রতিনিধি দল স্মৃতি ইসলামের বাড়িতে আসেন।
নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা এবং রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে অমানবিকভাবে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে স্মৃতির দুই শিশুসন্তান এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে আমরা বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এর প্রতিনিধি দল এখানে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, স্মৃতি ইসলাম কি কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত ছিল? যে তাকে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেতে হবে। বাসায় তার দুইটি শিশু সন্তান থাকার পরও স্মৃতিকে পুলিশ রাতে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। স্মৃতিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার দুই শিশু সন্তান যে একা বাসায় পড়ে ছিল এই সরকারের কি বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে গেছে। যদি ওই রাতের অন্ধকারে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতো তাহলে এর দায়ভার কি এই সরকার নিতো।
নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, বর্তমানে একটি অবৈধ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী তিনি তার সকল অবৈধ কর্মকাণ্ড ও তার সংগঠনের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে লুকিয়ে রাখার জন্য ও বৈধ করার জন্য এই ডিজিটাল আইন করেছে। এই ডিজিটাল আইন প্রনয়ণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির বাক স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্মৃতি আজ এই অবৈধ সরকারের প্রতিহিংসার স্বীকার। আমরা নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম তার পরিবারের পাশে আছি। দেশের গনতন্ত্র পুনরদ্ধারে আন্দোলন ও একটি স্বাধীন বাংলাদেশে যে স্বাধীন মত প্রকাশের এই আন্দোলনে আমরা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে মাঠে আছি।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, স্মৃতির পরিবারের দায়িত্ব হয়তো এই সরকার নিবে না। কারণ এই অবৈধ সরকার দেশের কোন পরিবারের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। শুধু স্মৃতির পরিবার না বাংলাদেশের সকল নিপিড়ীত নির্যাতিত পরিবারের দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও নারী শিশু অধিকার ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।