সোনাই নিইজ:শুধুমাত্র হিন্দু অতিথি হওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে পরপর দুই দিনে দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে গেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে বিশেষ অতিথি করায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুন নাহার মহিদের নির্দেশে দুটি অনুষ্ঠান বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের বঙ্গেশ্বরদী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. খায়ের মিয়া।
রবিবার বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
খায়ের মিয়া বলেন, রবিবার ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দেন চেয়ারম্যান শামসুন নাহার মহিদ। আমন্ত্রণপত্রে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম নিচের দিকে দেওয়ায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।
এবার ধোপাডাঙ্গা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে বঙ্গেশ্বরদী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি করা হয়। ড. দেবনাথ টেকনো মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বেঙ্গল ব্যাংকের পরিচালক। পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে বিশেষ অতিথির নাম দেখে চটে যান ইউপি চেয়ারম্যান।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকের নাম কেন চিঠিতে দেওয়া হলো এ কারণে ইউপি চেয়ারম্যান বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সব কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেছেন বলে অভিযোগ করেন বঙ্গেশ্বরদী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. খায়ের মিয়া।
‘শামসুন্নাহার মহিদ জানিয়ে দেন, তিনি নিজে অতিথি তালিকা দেবেন এবং সে অনুযায়ী চিঠি করে পরবর্তীতে অনুষ্ঠান করতে হবে, তা না হলে তিনি অনুষ্ঠান করতে দেবেন না।’
বঙ্গেশ্বরদী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, শুধু নামের কারণে যদি একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে এর চেয়ে দুঃখের কিছু নেই।
সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে অতিথি করা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুন নাহার মহিদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমি খুবই মর্মাহত ও দুঃখ পেয়েছি। বঙ্গেশ্বরদী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যেতে পারলে স্কুলের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারতাম। কিন্তু চেয়ারম্যান তা থেকে বঞ্চিত করলেন।