পল্লি বিদ্যুতের বারবার লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তি ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শাহজাদপুর উপজেলার জনসাধারণ।
রমজান মাসে বিদ্যুতের লোড শেডিং হওয়ায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বিশেষ করে তারাবির নামাজের কিছুক্ষণ আগে চলে যায় এবং নামাজ শেষে আসে। এ ছাড়াও ইফতারের ও যুহরের নামাজের পুর্বেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
বরাবরই সব বছরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের রমজান মাসে ইফতার, তারাবি নামাজ ও সাহরির সময় লোডশেডিং না দেওয়ার নির্দেশ থাকে। কিন্তু এরপরও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় রমজানের প্রথম দিন থেকেই পল্লি বিদ্যুতের বারবার লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন জনসাধারণ। তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা। এ দিকে অনেক বিদ্যুৎ গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
গত দু-তিন দিনে তারাবির নামাজের আগে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং নামাজ শেষে আসে। এ ছাড়াও ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে গরমে নামাজ পড়া দুঃসহ হয়ে ওঠে। ইফতার ও তারাবির সময় লোডশেডিং না করার আহ্বান জানান এলাকাবাসী।
রমজান মাসে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব মোঃ আবুল কাশেম বলেন, যেহেতু শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, তাই পূর্বের মতো এখনও শাহজাদপুর উপজেলার বিদ্যুৎ শতভাগ নিশ্চিত করে তারপর জাতীয় গ্রিডে প্রদানে করা হোক।
তিনি আরো বলেন, মেশিনারিজ কারণে যদি কোন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে তাহলে আমার কোন কথা নেই, তবে পল্লী বিদ্যুতের প্রয়োজনে এবং নিয়মে যদি কোন লোডশেডিং করা হয় সেটা রোজাদারদের রমজান মাসে ইফতার ও তারাবির সময় অবশ্যই গ্রহণ যোগ্য নয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জর শাহজাদপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ সোলায়মান হোসেন জানান, বিদ্যুৎ রিজার্ভ করে রাখার জিনিস নয়, তাই একযোগে যখন দেশে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তা মেটাতে না পারার কারণে তখন লোডশেডিং হচ্ছে। তবে তিনি আরও জানান, খুবই দ্রুত ১-২ দিনের মাঝেই উক্ত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।