ভোলার তজুমদ্দিনে একধিক মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে এক শশুড়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামাতা মফিজুর রহমান।
শশুরের দাবীকৃত টাকা না দিলে প্রতিবন্ধি স্ত্রীকে ব্যবহার করে আরো মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিন সম্ভুপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মফিজুর রহমান।
১৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব দাবী করেন। এসময় তার সাথে তার পিতা সিদ্দিক মিয়া ও মাতা রহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ২০০৩ সালে মফিজুর বিয়ে করেন পাশ্ববর্তী লালমোহন উপজেলার পৌর ৩নং ওয়ার্ডের ইউসুফ মিয়ার মেয়ে ও সম্পর্কে তার আপন ফুফাতো বোন বাকপ্রতিবন্ধী তানিয়া বেগম-কে। তাদের সংসারে দুটি মেয়ে সন্তান আছে। বিয়ের পর বেসরকারী চাকুরীর জন্য মফিজ ঢাকায় থাকার কারনে স্ত্রী বাবার বাড়িতে অবস্থান করতো।
একসময় মফিজুরের শশুড় ইউসুফ মিয়া তার আদম পাচারের ব্যবসার সহযোগী একই এলাকার সিরাজের সাথে ব্যবসায়ীক দন্ধে জড়িয়ে পড়েন।
এরসূত্র ধরে, ২০১৪ সালে নিজের প্রতিবন্ধি মেয়েকে ব্যবহার করে ব্যবসায়ীক সহযোগী সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মফিজকে স্বাক্ষী করা হয়। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি জামাতা। এই নিয়ে শশুড়ের সাথে বিরোধে জড়ায় সে।
একপর্যায়ে মফিজের বাকপ্রতিবন্ধী স্ত্রী ও তার শশুড় মিলে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ তার। জামাতা মফিজের আরো অভিযোগ, এসব মামলার ভয়ে আমি দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া আছি।
এসব মামলায় জামীন হওয়ার পর থেকে আমার শশুড় আমার কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। টাকা না দিলে সে আবারও মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে তার দাবী।
এসব বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে মফিজের শশুড় ইউসুফ কোন সদুত্তর না দিয়ে তার জামাতার কাছে ফোন দিতে বলে সংযোগ কেটে দেন।
মফিজের পিতা সিদ্দিক মিয়া দাবী করেন, আমরা পরস্পর আত্মীয় হওয়ায় এসব ঝামেলার পর একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তা উপেক্ষা করে তারা বারবার মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে।