সারাদেশে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) উদ্যোগে রাঙ্গামাটিতে স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডে স্বল্প মূল্যে টিসিবি’র পন্য বিক্রি শেষ হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে শহরের ৭নং ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রে ২হাজার ৬শত ৯৫জনকে টিসিবি’র পন্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দীন, ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের মহিলা আসনের নারী কাউন্সিলরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকে এইসব কেন্দ্রে মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। ৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে এইসব পন্য ক্রম করতে দেখা গেছে। আর এইসব কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে।
এসময় পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে জনসাধারণের যে দূর্ভোগ তা লাঘবে সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পৌর এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আজ এবং আগামীকাল ৭নং ওয়ার্ডের ৩টি স্থান থেকে ২হাজার ৭শত জনের মাঝে পণ্য বিক্রয় করা হবে। তিনি আরো বলেন পর্যায়ক্রমে সকল ওয়ার্ডের প্রায় ১৭হাজার পরিবারের মাঝে এ পণ্য বিক্রয় করা হবে।
এব্যাপারে ৭নং ওযার্ডের কমিশনার জামাল উদ্দিন জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নি¤œ আয়ের মানুষের কাছে কম দামে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী সুবিধাভোগী পরিবারের তালিকা তৈরি করে পরিবারের কার্ডের মাধ্যমে কম দামে ট্রাকে করে টিসিবি‘র এইসব পন্য বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা চাই যারা নি¤œ আয়ের মানুষ আছে তাদের কাছে যাতে টিসিবি’র স্বল্প মূল্যে এইসব পন্য পৌছে যায় তার জন্য পৌরসভা পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
পণ্যের মধ্যে রয়েছে দুই লিটার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দামে, দুই কেজি চিনি ৫৫ টাকা দামে, দুই কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা দামে এক প্যাকেটে বিক্রয় করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় ২৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮৭ হাজার ৩৪০ পরিবারের মাঝে ৪৬০ টাকায় এইসব পন্য কিনতে পারছেন কার্ডধারী পরিবারগুলো।