শেরপুরে যৌতুক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় অভিযুক্তর বাবা-মা ও এক আত্মীয়সহ তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি অভিযুক্ত স্বামী মামলার পর থেকেই পলাতক আছেন
আজ ১০মে মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তি ফুরকান আলী (৩৬)। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চেল্লাকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানালের পিপি অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, ২০১১ সালের ২রা জুলাই রাতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী জহুরা বেগমকে (২৩) শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যা করে তার স্ত্রীর লাশ নিজ ঘরের ধর্নায় ঝুলিয়ে রাখেন।
পরদিন নিহতের বড়ো ভাই ফজলুল হক ফুরকান আলী, তার বাবা-মা ও দুই আত্মীয়সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন
পরে তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ নভেম্বর ফুরকানের আত্মীয় আজিজুর রহমান বাদে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শ্রীবরদী থানার এসআই নুরুল আমিন খান।
মামলায় একমাত্র ময়দান আলী হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হলেও অপর তিন আসামিই পলাতক থাকেন। পরে মামলায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বাদি, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ছয় জনের সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফুরকান আলীকে এই দণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া একই আইনে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্যদের খালাস দেওয়া হয়।