জামাপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার যমুনার দূর্গম চরাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ক্রমসই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুগ যুগ ধরে চরাঞ্চলের মানুষ অবহেলিত হয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল।
যেখানে কেরোসিনের কুপিবাতি, হ্যারিকেন, কিংবা মোমবাতি ছিল একমাত্র তাদের ভরসা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই নেমে আসতো ঘুটঘুটে অন্ধকার। এখন সেখানে বিদ্যুতের আলোর ঝলকানিতে হয়ে উঠছে আলোকিত।
রাস্তাঘাট পাকাকরণ,ব্রিজ কালভাট নির্মাণ করায় পাল্টে যাচ্ছে চরাঞ্চলের হাট বাজারে চিত্র,আলোর রশ্মি ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গম চরবাসির প্রতিটি ঘরে ঘরে। গড়ে উঠছে ছোট খাটো ক্ষুদ্র শিল্প।
জানাগেছে ইউপির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন(বিএসসি) এর তৎপরতা ও অনুরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য বর্তমানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল এর ঐক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় যমুনার দূর্গম চর সাপধরী একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করতে সর্বমোট প্রায় ৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্প গুলোর মধ্যে ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের সাহায্যে নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চাল লাইন নির্মাণ ও চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু।
এ ছাড়া প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাঘাট, পাকা করণসহ ব্রীজ কালভাট,বাজারের সেট ঘর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। প্রতিটি বাড়ি-ঘরে এখন বৈদ্যূতিক বাতির আলোর ঝলকানিতে আলোকিত হয়েছে।
এ বিষয়ে কাজলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হক,আজহার,চরচেঙ্গানীয়ার কাসেম মন্ডল,তোরাব আলী চর শিশুয়ার মোফাজ্জল বেলালসহ এলাকাবাসিরা জানায়,আগে কোনদিন আমরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি, আমাদের এই দূর্গম চরাঞ্চলের মানুষ রাস্তাঘাট পাকাকরণ ব্রীজ, কালভার্ট, বাঁধ নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহুতল ভবন করাসহ হট-বাজারে সেড নির্মান হবে।
বর্তমান সরকারের এই উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে চরবাসির জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হাজার গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা অত্যান্ত খুশি।
এ ব্যাপারে সাপধরী ইউপির চেয়ারম্যান,জয়নাল আবেদীন(বিএসসি) জানান, বহুকাল ধরেই চরাঞ্চলে মানুষ তীব্র নদীভাঙন, বন্যা কবলিত, খরাসহ একের পর এক বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বসবাস করতে হয়েছে।
চরের মানুষ অত্যন্ত অবহেলিত ছিল।আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরবর্তি দূর্গম চরবাসীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে স্বপ্নের সাপধরী গড়তে স্থানীয় সংসদ সদস্য বর্তমানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল মহোদয়ের মাধ্যমে নানামুখি উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহন করায় চরাঞ্চলের মনুষ এখন আর আগের মত নেই, কারণ এলাকা বাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি এর দিকনির্দেশনায় এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ জামাল আব্দুন নাসের বাবুলের সার্বিক সহযোগিতায় বিভিন্ন রাস্তাঘাট পাকাকরণসহ ব্রিজকালভার্ট নির্মাণের ফলে অতি সহজেই যাতায়াত কৃষিপণ্য পরিবহন,বাজার জাত করণ করাসহ স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা জন্য সুফলতা পাবে।
তাই আমরা চরবাসি বর্তমান সরকারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। এখন আমাদের দাবী একটাই,৭১এর মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় সাপধরী ইউনিয়নে কটাপুর বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়য়ারণ্য অবাধ বিচরন ছিল বলে বাজারটির নাম করণ করা হয় মুক্তির বাজার।
আশি দশকের পরবর্তি বাজারটি যমুনার করালগ্রাসে বিলিন হয়ে যায়। ২০০৫সালের পরবর্তি কটাপুর এলাকায় বিশাল চর জেগে উঠেছে। তাই ৭১এর ঐতিহাসিক নাম মুক্তির বাজার রক্ষায় জেগে উঠা চরে একটি আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণসহ বন্যাকবলিত মানুষের জন্য একটি মুজিব কেল্লা নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল এমপির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুয়োগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার,গ্রাম হবে শহর।
তাই তার স্বদিচ্ছায় ইসলামপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের যমুনার দ্বীপচর গুলোর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে। তাই তার কাছে ইসলামপুর বাসির পক্ষ থেকে চিরকৃতজ্ঞ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।