বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
ফেনীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফলোআপ গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সামাজিক ও আইনি বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলুর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ সাভার ডিজিটাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর শুভ উদ্বোধন ব্যাচমেটস্ 0305 ক্রিকেট র্টুনামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ‘টিম অদম্য সাভার’ এস এল এ মানবাধিকার সংস্থার মানবাধিকার দিবস পালিত রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

মৌমাছির অভাবে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায়

এ কে আজাদ  রাজবাড়ী / ২৪০
নিউজ আপঃ শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২, ১২:২৩ অপরাহ্ন
পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের তৃতীয় স্থানে রাজবাড়ী

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে মতে, এ বছর রাজবাড়ীতে ২শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৯৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৭৭ হেক্টর জমিতে এবং প্রতি হেক্টর জমিতে ফলন হয়েছিল প্রায় ৫ থেকে ৬শ কেজি। এবারও তেমনটিই আশা করছে কৃষি অধিদপ্তর।

পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের তৃতীয় স্থানে রাজবাড়ী,এ জেলায় দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। পেঁয়াজের পাশাপশি বীজ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রাজবাড়ী জেলা।

তবে পেঁয়াজ বীজের আবাদ বাড়লেও অতিবৃষ্টি ও মৌমাছির অভাবে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। তারপরও চাষিদের প্রত্যাশা, যে ফলন হয়েছে তা ভালোভাবে ঘরে তুলতে পারলে এবং বাজারদর ভালো পেলে তারা লাভবান হবেন।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলছেন, গতবছরের চেয়ে এবছর জেলায় বীজের আবাদ বেড়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৫শ কেজি ফলন হবে। ফলন ভালোর জন্য মৌমাছি তেমন ভূমিকা রাখে না। এলোমেলো বাতাস, কুয়াশা ও বৃষ্টিতে ফলনের ক্ষতি হয়।

রাজবাড়ীতে ‘কালো সোনা’ বলে খ্যাতি রয়েছে এ পেঁয়াজ বীজের। আবার ‘কদম’ বলেও পরিচিতি রয়েছে। ফরিদপুরি ও তাহেরপুরি জাতের বীজ আবাদ হয় এ জেলায়। রাজবাড়ীর ৫ উপজেলায় কম বেশি বীজের আবাদ হয়ে থাকে। এরমধ্যে রাজবাড়ী সদর, পাংশা ও কালুখালীতে বেশি আবাদ হয়।

এখন পর্যন্ত বীজের ফলন ভালো থাকলেও ফলন তোলা পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে খরচ বাদ দিয়ে কিছুটা হলেও লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় চাষিরা। তবে কৃষি অফিসের পরামর্শ পান না বলে অভিযোগ তাদের।

পেঁয়াজ বীজ চাষি বলেন, প্রতি বছর তিনি পেঁয়াজের পাশাপাশি বীজের চাষ করি। আমাদের প্রতি পাকি(২২ শতাংশ) জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করতে ৬ থেকে ৭ মণ বড় পেঁয়াজ লাগে। এর পর কামলা (জন) খরচ প্রতি সপ্তাহে ২ বার কীটনাশক সার দিতে হয়। এ পর ও এবছর অতিবৃষ্টি ও মৌমাছি না থাকায় ফুল শুকিয়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে ফলন কম হবে। তবে বর্তমান মাঠের যে অবস্থা, এরকম থাকলেও তাদের লোকসান হবে না।এখন মৌমাছি না থাকায় লোক নিয়ে প্রতিটি ফুলে ঝার দিচ্ছি যাতে ফুলটা পুষ্ট হয়। তবে এতে কত খানি কাজ হবে জানি না। মনের শান্তনা মাত্র।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এসএম সহীদ নূর আকবর বলেন, গতবছরের চেয়ে এবছর রাজবাড়ী জেলায় পেঁয়াজ বীজের আবাদ বেড়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৫শ কেজি ফলন হবে। ফলন ভালোর জন্য মৌমাছি তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। তবে এলোমেলো বাতাস, কুয়াশা ও বৃষ্টিতে ফলনের ক্ষতি হয়।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share