শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

মাদক সম্রাট নামে খ্যাত আশুলিয়ার দুর্গাপুরে শাহীন মন্ডল- ইমরান ও সম্রাট

নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬৯
নিউজ আপঃ শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৪০ পূর্বাহ্ন

ঢাকার অদূরে আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে একটি মাদকের সিণ্ডিকেট। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানাযায়, আশুলিয়া কাঠগড়ার দুর্গাপুর এলাকায় আলী আহম্মদের বাড়ির পিছনের বাঁশ বাগানে জমজমাট ইয়াবা,গাজাও হিরোইনের ব্যাবসা চলে আসছে দির্ঘ দিন থেকে। আর এর নেতৃত্ব রয়েছে কিশোর গ্যাং লিডার মাদক ব্যবসার মূলহোতা ইমরান, সম্রাট ও শাহীন মন্ডল। সঙ্গবদ্ধ ভাবে মাদকসহ  অপরাধ কর্মকান্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। তাদের বিশৃঙ্খলা মুলক কাজে কেউ বাঁধা দিলেই হামলা।
স্থানীয়রা বলছে, এলাকার আনাচে কানাচে মাদকে ছয়লাব করে ফেলেছে এরা। তাদের সাথে আরও ৮/১০ জন কিশোর গ্যাং এর সদস্য রয়েছে। মূলত এদের হাত ধরেই ইয়াবা, গাজা ও হিরোইন বিক্রি করে। তাদের প্রত্যকের বয়স ২০/২৫ বছর। তারা নেশা দ্রব্য বিক্রি ও সেবন করে এলাকার শান্তি শৃংখলা নষ্ট করছে। স্থানীয়দের দাবি,এই চক্র যদি এখনই দমন করা না যায় তাহলে এলাকার যুব সমাজ ও ছাত্ররা খুব শিগগিরই নেশায় আসকক্ত হয়ে পরবে। এ ব্যাপারে এখনো পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছেে এলাকাবাসি।
সরেজমিন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, ২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকায় জুম্মার নামাজের আগ মুহূর্তে সরকার বাড়ির সামনে একদল মাদক সেবি এবং বিক্রেতার আনাগোণা দেখলে ৬০উর্ধ বয়সি করিম সরকার তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অবগত বিধায় তাদের শুক্রবারের নামাজের দাওয়াত দেন এবং এলাকার মুরুব্বি হিসাবে ধমকের স্বরে কিছু উপদেশ মুলক কথা বলেন, এতে খিপ্ত হয়ে কিশোর গ্যাং সদস্য মাদক সেবি জুয়েল লাঠি দিয়ে বৃদ্ধ করিম সরকার কে আঘাত করে।
এসময় বৃদ্ধ করিম সরকার লোকজন ডাকাডাকি করলে ঘটনা স্থলে জুয়েলের সাথে থাকা মাদক ব্যাবসায়ী শাহিন মন্ডল -পিতা মোহাম্মদ আলি, ইমরান-পিতা অজ্ঞাত, সম্রাট -পিতা বাবু সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায় তবে মাদক সেবি জুয়েল-কে লোকজন ধরে ফেলে, তার মোবাইল ফোনে দেখা যায় মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে মাদক কারবারের নমুনা।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জাকির হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানানো হলে মাদক সেবি জুয়েল সব অপরাধ তার কাছে অকপটে স্বীকার করে এবং বলে মাদকের সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সার্বিক সহযোগিতা করবে এবং নিজে কখনো মাদক নিবেনা বলে স্বীকার করে। মেম্বার জাকির হোসেন জানান, মাদকের বিষয়ে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা আমি প্রশাসন কে অবগত করে কিশোর গ্যাং এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই কার্যকরী পদক্ষেপ নিবো।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,জমির মালিক ও পুলিশের তোয়াক্কা না করেই তারা তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। কথা বলতে গেলেই হামলা চালাই। মারধর ও হত্যার মত হুমকি ও দেয়। সম্প্রতি, এই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে হেরোইনসহ স্থানীয়রা ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে সে জানায় কাদের নেতৃত্বে চলে এই ব্যবসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদক ব্যবসায়ী জানান, ইমরানও শাহীন মন্ডলের নেতৃত্বে তারা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। যেকোন সমস্যা হলে তারাই দেখেন। পুলিশের ঝামেলা হলেও তারা টাকা দিয়ে ছারিয়ে নিয়ে আসেন।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share