নির্বাচন বলে কথা!ক্ষুদে শিক্ষার্থী প্রার্থী সবাই ব্যস্ত।ভোটারদের দোয়া সমর্থন লাভে চেষ্টার কমতি নেই প্রার্থীদের। নির্বাচনে পাশ করেই তারা একেকজন মন্ত্রী বনে যাবেন রাতারাতি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও হবে কেউ। সে আয়োজনে ব্যস্ত প্রতিষ্ঠান। সিইসি হবে, প্রিজাইডিং হবে, আনসার ভিডিপি হবে।কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তারা। সে এক এলাহী আয়োজন!
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভোট। ৭ জন ষ্টুডেন্ট কেবিনেট সদস্য নির্বাচিত হবে। এ জন্য আছে রীতিমতো নির্বাচনের আয়োজন।থাকবে তাতে ব্যালট, প্রধান নির্বাচন কমিশনার। রিটার্নিং, প্রিজাইডিং। নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার ভিডিপির পোশাক পড়ে থাকবে আনসার ভিডিপি। সব শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই।
এসব আয়োজনে ব্যস্ত এখন মনোহরদীর ১৬৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগামী ২ জুন সারাদেশের মতো এখানেও ষ্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়েছে পুরো শিক্ষাঙ্গন।কেউ কেউ আবার ইশতেহারও ঘোষনা করেছে।উৎসবের পুরো আমেজ নির্বাচন ঘিরে। আর মাত্র ১ দিন- তারপরই ভোট। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেনীর সব শিক্ষার্থী ভোটার।
দেবে তারা ভোট- একেবারে ব্যালট পেপারে। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন। প্রার্থী শিক্ষার্থীরা ভোটার শিক্ষার্থীদের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত এখন সবাই। ভোটার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও বেশ উৎফুল্ল বাড়তি তোয়াজ তোষামোদ পেয়ে। ছোটখাটো মান অভিমান ছেড়ে ভোট অর্জনে সচেষ্ট প্রার্থীরা।
এ যেনো সত্যিকারের একটি নির্বাচন।সরকারের মন্ত্রী পদ পেতে পাশ করাটাই কেবল বাকী।মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে মনোহরদী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
পরে মডেলের প্রধান শিক্ষিকা আমেনা পারভীন জানান, ৭ টি কেবিনেট সদস্য পদের বিপরীতে তার এখানে ২৬ ক্ষুদে শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছে। তাদের ৭ জনের ভোটে সত্যি সত্যিই ৭ বিষয়ক মন্ত্রী হবে তারা। থাকছে তাদের একজন প্রধানমন্ত্রীও।
আগামী ১বছর দায়িত্ব পালন করবে তারা। স্ব স্ব মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করবে এ সময়টুকু।কেউ হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী- দেখভাল করবে শিক্ষাঙ্গনের স্বাস্থ্য বিষয়। কেউ বা পরিবেশ মন্ত্রী- স্কুলের পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার দেখভাল তার। কেউ বা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন -উন্নয়ন ঘটাবেন এখানকার খেলাধূলো ও সংস্কৃতির। থাকবে একজন প্রধানমন্ত্রী- যার দিক নির্দেশনায় চলবে পুরো মন্ত্রী পরিষদ।