রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও পাংশা উপজেলা কে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে সরকারি খাস জমিতে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়।
২২ মার্চ বুধবার সকালে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আয়োজনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে রাজবাড়ীর ৪ উপজেলায় ২৭৭ জনকে চাবি ও দলিল হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী কতৃক ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পর রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার ৩৫টি, পাংশা উপজেলার ১২০টি, বালিয়াকান্দি উপজেলার ১২০টি, গোয়ালন্দ উপজেলার ২টিসহ মোট ২৭৭টি ঘর উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার না থাকায় রাজবাড়ী সদর, পাংশা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা কে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তবে এর পরেও যদি কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকে তাদের জন্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালু থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাজবাড়ী জেলায় এর আগে ২১২২টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা পাংশা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে পাংশা প্রান্তে সংযুক্ত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী -২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি।
রাজবাড়ী সদর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক বিশ্বাস, সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল প্রমুখ।
বালিয়াকান্দি থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বালিয়াকান্দি প্রান্তে সংযুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব আবু কায়সার খান।উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ হাসিবুল হাসান,উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ডা. নাসির উদ্দীন, তদন্ত ওসি প্রাণ বন্ধু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ৭ ইউপি চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে কালুখালী উপজেলাকে গত জুন ২০২২ এ ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।