রাজশাহীর বাঘায় পূর্ব শক্রুতার জেরে মসজিদের ভিতরে ঢুকে ব্যাংকারকে অতর্কিত ছুরিকাঘাত কারী মনিরুল ইসলাম জমজম(৪৪)কে আটক করেছে পুলিশ।শুক্রবার(৭অক্টোবর) সকালে নিজ বাড়ী থেকে আটক করা হয়।আটককৃত জমজম উত্তর কলিগ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার উত্তর কলিকগ্রাম এলাকার মনিরুল ইসলাম (৪৫) কয়েক বছর পূর্বে তার পিতা আয়েজ উদ্দিনকে নিজ হাতে হত্যা করে। এ মামলায় প্রত্যক্ষ সাক্ষী হন একই এলাকার মরহুম মুক্তযোদ্ধা আবুল হোসেনের মাষ্টারের ছেলে আবু বাশার মোঃ সিদ্দিক। পরবর্তিতে তার মা’ সহ-পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মামলাটি আপোশ- মীমাংসা করায় সে জেল থেকে ছাড়া পায়।
বৃহস্পতিবার(৬অক্টোবর)উপজেলার উত্তর কলিগ্রাম জামে মসজিদে মাগরিব নামাজের জামায়াতে ফরজ নামাজ আদায়ের সময় দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে যাওয়ার সময়
মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মাষ্টারের ছেলে আবু ফজল মোঃ সিদ্দিক (৩৭) নামের যুবককে আহত করেছে মনিরুল ইসলাম জমজম(৪৫) নামের এক যুবক।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রাখেশ পান্ডে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।আহত আবুল ফজল মোঃসিদ্দিক তাপস একই গ্রামের বাসিন্দা ও অগ্রণী ব্যাংক বাজু বাঘা শাখায় কর্মরত।
এ ঘটনায় আহতের ভাই আবু বাশার মোঃসিদ্দিক বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহতের ভাই বাদি আবু বাশার মোঃ সিদ্দিক জানান,মনিরুল ইসলাম জমজম তার নিজ বাবা আয়েজ উদ্দিনকে হত্যা মামলায় আমাকে শ্বাক্ষী করা হয়।সেই থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার কয়েকবার চেষ্টা করে।এ বিষয়েও থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়ে ছিলাম।সর্বপরি গত বৃহষ্প্রতিবার মাগরিব নামাজ পড়া অবস্থায় ছোট ভাই ছুরিকাঘাত করে।আমার দাবি,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে ছুরি মেরে আহত করা হয়েছে।
বাঘা থানার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান,ঘটনার পর থেকে মনিরুল ইসলাম জমজম আত্বগোপনে ছিলো। শুক্রবার (৭অক্টোবর) সকালে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর....