সোনাই নিউজ:রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
আগুনে দগ্ধ ও আহত হওয়ার পর তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন— পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বনানী থানার ওসি ফরমান আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।এ ছাড়া অসমর্থিত খবরে ৬ জন মারা যাওয়ার কথা জানা যায়।
বনানী থানার কন্ট্রোলরুম থেকে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে আব্দুল্লাহ আল ফারুকের মরদেহ। তিনি আগুন লাগার পর আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন।
শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন।
অন্যদিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমেনা ইয়াসমিন। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে। আর মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১তলা ভবনের নয় তলায় আগুন লাগে। এফআর টাওয়ারের পাশেই অনলাইন নিউজপোর্টাল পরিবর্তন ডটকমের অফিস। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বনানীর প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎসহ জরুরি সেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
আগুন লাগার পরপরই দেড়টার দিকে এফআর টাওয়ার থেকে আতঙ্কিত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে নিচে লাফিয়ে পড়তে দেখেছে টিম পরিবর্তন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এনায়েতউল্লাহ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।