ফরিদপুর জেলা সদর সহ ৫ উপজেলার অবৈধ ২০ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার (২৮ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো: ছিদ্দীকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, অনিবন্ধিত ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা সদরের ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সালথা উপজেলার ৩টি, মধুখালী উপজেলার ৭টি, বোয়ালমারী উপজেলার ৭টি ও সদরপুর উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.কবির সরদার জানান, সিভিল সার্জন স্যারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে উপজেলা সদরের বাবু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ঢাকা ডিজিটাল ল্যাব, সানজিদা ক্লিনিক, সুমি ক্লিনিক, একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডায়াবেটিক সমিতি, মঈন ফেকো চক্ষু হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: খালেদুর রহমান জানান, উপজেলার আলনুর চক্ষু হাসপাতাল, সেতু সার্জিক্যাল, সেবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ন ল্যাবরেটরি, মীম ডায়াগনস্টিক, স্বর্না সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এছাড়া মোল্লা আহম্মদ হোসেন মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কোহিনুর ডায়াগনস্টিক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, দি ইস্টার্ন সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও আল-আমিন সার্জিক্যাল ক্লিনিককে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সহ যাবতীয় কাগজপত্র সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে, জমা দিতে না পারলে বন্ধ করে দেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সিভিল সার্জন ডা. মো: ছিদ্দীকুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা সদর সহ ৫ উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। অবৈধভাবে পরিচালনা করায় ২০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সময়ের পর নিবন্ধনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।