পাইলট প্রকল্পে দ্বিতীয়বার ভেনামী চিংড়ী পোনা ছাড়া হয়েছে। খুলনার পাইকগাছার লোনা পানি গবেষণা কেন্দ্রে মোট চারটি পুকুরে পোনা ছাড়ার মাধ্যমে ভেনামি পাইলট প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
গত রবিবার পাইকগাছায় লোনা পানি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক চাষের ২টি পুকুরে নমুনয়ন ও পরিদর্শন করেন জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল, বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ডিপিডি এটিএম তৌফিক মাহমুদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ এবং এমইউসি ফুড লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
নমুনয়ন ও পরিদর্শন কালে ১২তম দিনে ভেনামী চিংড়ী সন্তোষজনক ভাবে বাড়ছে বলে জানান, খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি ক্রুমানয় কমে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখাগেছে বিশ্ব বাজারে বর্তমানে ৭২% ভেনামী চিংড়ির দখলে। বাকী ২৮% নিয়ে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হয়। সেজন্য বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ভেনামী চিংড়ি চাষের বিকল্প নেই।
সে লক্ষ্যে সরকার রপ্তানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে ভেনামি প্রজাতির চিংড়ির পোনা এনে খুলনা অঞ্চলের আটটি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। অবকাঠামো সংস্কার হলে দ্রুত আরো চারটি কোম্পানিকেও ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়া কক্সবাজারে আরো চারটি প্রতিষ্ঠানকে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যারা অচিরেই ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু করবে বলে বিএফএফইএ সূত্র জানাগেছে।
এদিকে, যশোর বিসিক শিল্প নগরের ‘এমইউসি’ ফুডস মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে খুলনা পাইকগাছার লোনা পানি গবেষণা কেন্দ্রে ভেনামি পাইলট প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে।
গত বছর ৩১ মার্চ এমইউসি ফুডস থাইল্যান্ড থেকে ১০ লাখ ভেনামি জাতের পোনা আমদানি করে। চারটি পুকুরে ভেনামী চিংড়ি চাষ শুরু করেন। লাভজনক হয়।
পরবর্তীতে ২০-২০২১অর্থ বছরে ১০মে রাতে একই পদ্ধতিতে এমইউসি ফুডস ১২লাখ ভেনামী চিংড়ি পোনা আনে এবং পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন।