রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর খেয়া ঘাট এলাকা থেকে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে এই মহোৎসব।
শনিবার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেলচা দিয়ে তিনটি বাটাহাম্বা গাড়িতে বালু ভরতে ব্যাস্ত রয়েছে ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় আরোও তিনটি বাটহাম্বা গাড়ি পালিয়ে যায়।
এ সময় বেলচা দিয়ে গাড়িতে বালু উত্তোলন করা শাহিন নামের এক বাটাহাম্বা চলকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা দিন মুজুর শ্রমিক। গাড়ি প্রতি ৩০০ টাকা পাই। স্বপন আমাদের যেখানে বালু দিতে বলেন, আমরা সেখানে বালু দিয়ে আসি। আরোও এক চালক বলেন, আমাদের কাছে কিছু বলে লাভ নেই। আমরা দয়ীক্ত শুধু বালু দিয়ে আসা। এছাড়াও খেয়া ঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত? নাম বলতে অনিহা প্রকাশ করেন ব্যবায়ীরা।
কে এই স্বপন? খোজ নিয়ে জানা যায, হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বরকত খাঁর ছেলে স্বপন খাঁ। তার নেতৃত্বেই পদ্মা নদীর খেয়া ঘাট এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে এ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্বপন খাঁর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি একটি গাড়ি দিয়ে বালু উত্তোলন করছি। বালু উত্তোলনের জন্য কোন অনুমোতি নেওয়া হয়নি। অন্য গাড়িগুলো দিয়ে কে বা কাহারা বালু উত্তোলন করছে তা আমি জানি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টা আমাকে কেউ বলেনি। যাদি অবৈধ ভাবে কেউ বালু উত্তোলন করে থাকে তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এই বিভাগের আরও খবর....