চিকিৎসার নামে তরুণীকে (১৬) ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা কারি মো: মমিন মন্ডল (৪২) কে গ্রেফতার করেছে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ।
তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার নবাবপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি (দোপপাড়া) গ্রামের সাদেক মন্ডলের ছেলে। তিনি এলাকায় নিজেকে কবিরাজ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
গত ৮ জুন তরুণীর পিতা দন্ত চিকিৎসক বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বালিয়াকান্দির জামালপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, ধর্ষণকারী মমিন মন্ডল দীর্ঘদিন যাবত ওই তরুণীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। যার ফলে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণীর পড়ালেখায় মন না থাকায় পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে ধর্ষক আলাদা রুমে নিয়ে চিকিৎসা করতেন। এই সুযোগে ধর্ষক তরুণীকে অচেতন করে একের পর এক ধর্ষণ করেতেন।
মেয়ের পড়ালেখায় তেমন মন না থাকায় দুই মাস আগে পারিবারিক ভাবে জেলার পাংশা উপজেলার সৌদি পাড়া এলাকার বিদেশ ফেরত ছেলের সাথে বিবাহ হয়।ওই তরুণীর শারীরিক গঠন দেখে ছেলের পরিবারের লোকজন মেডিকেল চেকআপ করালে জানা যায় সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।ওই তরুণীর গর্ভপাত করানো হয়েছে।এখন সে পরিবারের সাথে আছে।
এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার বিভিন্ন লোক নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, মনিন মন্ডল ভালো মানুষের আড়ালে চিকিৎসার নামে অনেককেই কুপ্রস্তাব দিয়েছেন।
ধর্ষণকারী মমিন মন্ডলের এক ছেলে রসুলপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। তার মেয়েও কোরআনে হাফেজ। মেয়ে কিছুদিন আগের একজন ইমামের সাথে বিবাহ ঠিক হয়।তবে এই ঘটনা জানাজানি হলে বিবাহ ভেঙে যায়।
বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ধর্ষণকারী মমিন মন্ডলের গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, গত কাল সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর....