প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ন্যায়কুঞ্জের কনসেপ্টটা আমরা অনেক চিন্তা করেই করেছি। এই যে আদালত, এই অফিস সবই জনগণের স্বার্থে করা হয়েছে। ন্যায়কুঞ্জ করা হয়েছে জনগণের সেবার জন্যই। দেশের প্রতিটি আদালত চত্বরেই ন্যায়কুঞ্জ করা হবে।
রবিবার (৯ এপ্রিল ) সকালে রাজবাড়ী আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার‘ন্যায়কুঞ্জ’এর ভিত্তিপ্রস্তুর কালে তিনি এসব কথা বলেন। ভিত্তিপ্রস্তুর শেষে আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপনসহ জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে মতবিনিময় করেন।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সবার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণ সব সেবা যাতে সহজভাবে পায়, স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করে, এই চিন্তা থেকেই আমরা এই কনসেপ্টটা করি। গ্রামগঞ্জ ও দূর-দূরান্ত থেকে যেসব মানুষ আদালত চত্বরে আসেন, বিশেষ করে নারীদের বেশি সমস্যা পোহাতে হয়। অনেকে বাচ্চা নিয়ে আসেন আদালত চত্বরে, তাদের বসার জায়গা, পানি খাওয়া, টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। এই চিন্তা থেকে আমি শপথ নেওয়ার পরপরই মাননীয় প্রাধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি, প্রত্যেক আদালত চত্বরে এরকম কোনো বিশ্রামগার করা যায় কিনা। প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে বিজয় একাত্তর উদ্বোধনের দিন ওয়াদা করেন এটা করে দেবেন। সারাদেশে বিচার পেতে আসা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এই বিশ্রামগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ করার জন্যে ইতোমধ্যে ৩৫ কোটি টাকা বাজেট হয়েছে। দেশের প্রতিটি আদালত চত্বরে এই ন্যায়কুঞ্জ হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ আদালত ১ নং জান্নাতুন লিলিফা আক্তার জা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সুবর্ণা রানী সাহা প্রমুখ।