ধামরাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের শহীদ রফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে ধামরাই পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আলহাজ্ব সাহেব আলীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ দুইজনই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষত সাহেব আলী, সাবেক সংসদ সদস্য এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সাহেব আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে তার ছেলে ও ভাগ্নে, এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত। সাহেব আলীর অপকর্ম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন দীর্ঘদিন সাহেব আলীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, বরং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তিনি সুরক্ষিত ছিলেন।
তবে, রফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় সাহেব আলী ও তার ভাগ্নে আরিফুল ইসলামের নাম আসামি তালিকায় উঠে আসার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তারা আশা করছেন, অবশেষে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উপযুক্ত শাস্তি হবে। এলাকাবাসী সাহেব আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এবং সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এলাকার মানুষ মনে করেন, সাহেব আলী এবং তার পরিবারের অবৈধ কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটাতে বিচার বিভাগের কঠোর হস্তক্ষেপ অপরিহার্য।
সাবেক কাউন্সিল সাহেব আলী বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলা ছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে। তাই সাহেব আলী কাউন্সিলর ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা শিপলু মিয়ার শাস্তি দাবি করছেন ধামরাই পৌর বাসী ।