পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাউবোর প্রকৌশলী কর্তৃক সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলা ক্ষতিগ্রস্থ সেই কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক। বুধবার বেলা বারোটায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামের ওই ক্ষেত পরিদর্শনে যান। এসময় কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ ও ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল জলিল মাষ্টার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য প্রায় ২ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে পশ্চিম চাপলী গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ঢালে সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ রোপন করেন কৃষক দেলোয়ার। কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারী হঠাৎ সকল তরমুজ চারা উপরে ফেলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম।
কৃষক দেলোয়ার কাঁদো কাঁদো কন্ঠে জানান, আমি মনির স্যারের হা-পা ধরে কান্নাকাটি করেছি। বলেছি প্রয়োজনে আমার নামে মামলা দেন। কিন্তু এই ক্ষতিটা করিয়েননা। সে আমার কথা শোনেনি। আমি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আগে তাদের থেকে অনুমতিও নিয়েছি। তখন তারা বাঁধা দেয়নি। আমার বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ জানান, কৃষক দেলোয়ারের ৮শ‘ মাদায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার তরমুজ গাছ হয়েছিলো। আর একমাস পরই এসব গাছে ফল আসতো। আমার ঘটনাস্থল স্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সতত্যা পেয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, জেলা প্রসাশনের নির্দেশে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। দুই একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।