পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত সূর্যমুখী প্রদর্শনীভ‚ক্ত কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলার পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচীব(সম্প্রসারন অনুবিভাগ) রবীন্দ্রশ্রী বড়–য়া। এসময় কৃষকরা সূর্যমূখি চাষে তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। পরে প্রধান অতিথি সেচ ব্যবস্থা ও সূর্যমূখি বীজ থেকে তেল ভাঙানোর মেশিন স্থাপন সহ কৃষকদের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন। এসময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.আর.এম সাইফুল্লাহ।
পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল বলেন, আমাদের এলাকায় গত ১০ বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি জসিতে সূর্যমূখির আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তবে আমাদের এলাকায় সূর্যমূখির বীজ ভাঙিয়ে তেল তৈরীর কোন মেশিন নাই। তাই আমাদের এলাকায় বীজ সংগ্রহ এবং বীজ ভাঙানোর মেশিন দরকার। একই এলাকার কৃষনী অযুফা বেগম জানান, আমরা আগে তেমন সূর্যমূখি চাষ করিনি। গত কয়েক বছর ধরে সূর্যমূখির ফলন ভালো হওয়ায় আমরা সূর্যমূখি চাষে উদ্বুদ্ধ হই। কিন্তু আমাদের এলাকার খালগুলো দখল এবং প্রাকৃতিক ভাবে ভরাট হয়ে গেছে। তাই খাল দখলমুক্ত এবং পুন:খননের দাবি জানাচ্ছি।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচীব(সম্প্রসারন অনুবিভাগ) রবীন্দ্রশ্রী বড়–য়া জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা ভোজ্যতেল উৎপাদনের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছি এটা একটা বাংলাদেশের ফ্লাকসিপ প্রকল্প। আমরা ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ভোজ্যতেল ৪০ ভাগ অভ্যন্তরীনভাবে যে পরিকল্পনাটা নিয়েছি, এটার একটি গতি সঞ্চার হয়েছে এবং এটা আমরা ধরে রাখার জন্য কাজ করছি। মতবিনিময় সভায় কৃষকদের সমস্যাগুলো উঠে এসেছে। তাদের সকল সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকরা সরকারের পক্ষ থেকে বীজ ভাঙানো মেশিন পাবে। বর্তমানে সূর্যমূখী চাষিরা তাদের উৎপাদিত তেল পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে বিক্রি করছে।