ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদারের সমর্থন না করায় অন্তত ৬ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় গতকাল সোমবার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অন্তত ৪০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন মনিরা সুলতানা নামের এক নারী।
মামলায় মনিরা সুলতানা উল্লেখ করেন, নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদারের সমর্থন না করায় আগে থেকেই ক্ষিপ্ত আসামীরা। গত ১৩ এপ্রিল আমার ¯^ামী শাহাবুদ্দিন হাওলাদার কলেজ বাজারে বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করতে যায়। এসময় মামলার প্রধান আসামী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জয়নাল মৃধার নেতৃত্ব তার ¯^ামীকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তাৎক্ষনিক তার ¯^ামীকে বাচাতে এগিয়ে আসে সজিব হালাদার, জাহিদ মেলকার, দোলন মেলকার, অলিউল্লাহ হাওলাদার ও লিমন হাওলাদার সহ ১২ থেকে ১৩ জন। এসময় অন্তত ৪০ জন সন্ত্রাসী তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে আসামীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে আহতদের পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি কর হয়।
মনিরা সুলতানা আরো উল্লেখ করেন, আমাার ¯^ামী নির্বাচনে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান টিনু মৃধার সমর্থন করেছেন। এছাড়া যাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে তারাও টিনু মৃধার সমর্থক ছিলো। মূলত রিয়াজ তালুকদারের সমর্থন না করার ফলেই হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালিয়েছে। আমি আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে ধানখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জয়নাল মৃধা জানান, এ হামলা আমি করিনি। উল্টো তারা ৭ থেকে ৮ জনে মিলে আমার উপরে হামলা চালিয়েছে। তাদের হাত থেকে আমার জীবন বাচবে সেটা ভাবিনি। বর্তমানে আমি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
সাবেক ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার জানান, বর্তমানে আমি একটু ব্যস্ত আছি। পরে কথা হবে। ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান টিনু মৃধা জানান, ঘটনার সময় আমি পটুয়াখালীতে ছিলাম। শুনেছি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার ওই দিন সকালে লোন্দা বসে একটি গোপন সভা করেছে। তার একটি ভিডিও আছে। সেখানে বসে হয়তো তারা হামলার পরিকল্পনা করতে পারে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, আইনশৃংখা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ন রাখার লক্ষে পুলিশ সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।