লক্ষ তারার মাঝে, সহস্র মানুষের ভিড়ে,
যে মুখটি খুজি আমি, পাই না কোথাও খুঁজে।
নয়নের নয়ন মনি, জনম দুখিনী সে যে,
জীবন ধন্য যার জন্য, পরম স্নেহে মমতা ময়ী মাকে।
যার উছিলায় এ ধরনী, পেলাম কতো সুনাম খ্যাতি,
সবাই আমায় জ্ঞানে গুনে, ভক্তি-শ্রদ্ধা আদর করে।
স্বপ্নের ডানায় চলছি উড়ে, ধরণীর দিক হতে দিগান্তরে,
সেতো আমার সাত রাজার ধন, গর্ভ ধারিনী মায়ের জন্যে।
যার দোয়াতে মহা মুনি, গড়েছি সম্পদ অর্থ জমি,
রাজা বাদশা উজির নাজির, জজ ব্যারিস্টার শ্রেষ্ঠ বীর।
কবি সাহিত্যিক গায়ক সাধক , পীর আউলিয়া বাউল বাদক ,
সে তো আমার পরম ধন, আঁধার রাতের দিকদর্শক মারে।
যে নিজেকে উপস রেখে, নিদ্রা বিশ্রাম আরাম বিনে,
চোখের আড়ালে না রেখ, পরম আদরে করেছে লালন তিলে তিলে।
যার আঁচলের ছায়া তলে, শৈশব কিশোর যৌবন পৌঢ়ে,
সর্ব অবস্থায় চোখের মনি, সে তো আমার মারে।
ছেঁড়া বসন মলিন বদন, খোকার সুখে সারা জীবন,
টেনেছে ঘানি দুঃখের রজনী, সকাল হতে সন্ধ্যা অবধি।
পুড়েছে হৃদয় অসীম যন্ত্রণায়, খোদার আরশ উঠেছে কাঁপি,
মলিন কেন মোর সোনামনির বদনখানি, খোদা তুমি দাও না বলি।
বেলকাপুর হাটে মেঠো পথে,যেতেন বাবা সওদা কিনতে,
ওগো তুমি মোর প্রাণের লাগি,ভুলবে না আনতে চিনেবাদাম টি-শার্ট খানি।
ফিরলে বাবা হাট থেকে, ব্যাগে খুঁজে মা খোকার জিনিস আগে,।
ভুল ক্রমে ছাড়া পড়লে, মলিন মায়ের চাঁদ বদনী।
সুখে-দুখে সর্ব সময়,, অসুখ হলে অজানা আশঙ্কায়,
গড়িয়ে পড়ে চোখের পানি, মানত মানে পোলাও শিন্নি।
নির্ঘুম রজনী সারা রাত্রি, আঁচল ভিজায় মালিক তুমি,
যার দোয়ায় আল্লাহ রাজি , তার সেবা যত্নে জান্নাতি।
সঙ্গে রইলে মায়ের দোয়া, শান্তি সুখে জীবন ভরা,
সকল কর্মে সফল সদা, চলতে পথে সকল বাধা।
দূর হবে সব দুঃখ জ্বালা , ধন্য জীবন পৃথিবীসেরা,
দুর্লভ তুমি দুর্জয় সৈনিক, বিজয় গৌরবের চির নির্ভীক।
পরকালে জান্নাত লাভে, সুখী সমৃদ্ধ জীবন গড়তে,
মাতৃস্নেহের বিকল্পে নেই, কিতাবি কথা জানে সবাই।
সে মাকে আঘাত দিলে, জ্বলবে তুমি ধরা ধামে,
সুখের সংসার ধ্বংস হবে, মায়ের সেবার ব্যাঘাত ঘটলে।।
এই বিভাগের আরও খবর....