দেশের বেকার যুবক ও নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ, স্বাবলম্বী এবং আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সারাদেশে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন “টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপল অফ বাংলাদেশ(টেকাব)”শীর্ষক কারিগরি সহয়তা চাঁদপুরের কচুয়ায় ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার ভ্যানে ৪৪দিন ব্যাপী ৩টি শিফটে ৪০জন প্রশিক্ষানার্থীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষন কোর্স করা হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কচুয়ায় ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এটি। বাসের ভেতরে আসনের সামনে একটি করে রয়েছে কম্পিউটার। সেই কম্পিউটারে বসেই শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা নিচ্ছে প্রশিক্ষণ। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে কচুয়া উপজেলা চত্বরে।
প্রধানমন্ত্রীর ২০২১ ভিশন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করতে গ্রামের প্রত্যন্তঞ্চলের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মধ্যে নতুন চেতনা আনতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষনার্থীরা জানান, যুব উন্নয়নের এমন উদ্যোগে বেশ খুশি তারা। তারা জানান, বিনা পয়সায় তারা কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন উপকরন দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরন হবে বলেও জানান তারা।
কম্পিউটার প্রশিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। এতে করে পিছিয়ে পড়া বেকার যুবক-যুবতীরা এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী হতে পারবেন। পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কমর্কতা মুহাম্মদ মাহবুব উল আলম জানান, গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে আগত যুবক ছেলে- মেয়েদেরকে এমএস অফিস, গ্রাফিক ডিজাইন, ইন্টারনেট আউট সাইডসহ নানা ধরনের প্রোগ্রাম শিখানো হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা এ সনদ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে অল্প সুদে ঋণও তুলতে পারবেন। যা দিয়ে গ্রামের অবহেলিত যুবসমাজের বেকার সমস্যা দূরসহ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।