স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন কচুয়ায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে উপজেলা প্রশাসনকে।
২৮ মে শনিবার ৯টি ক্লিনিক ও হাসাপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তন্মধ্যে মহিউদ্দিন ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ রাখায় ১০ হাজার টাকা ও পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন সিটি মেডিকেলের বৈধ লাইসেন্স না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও নিজ লাইফ ডায়াগন্টিক এন্ড কনসানটেশন সেন্টার ৭ হাজার টাকাসহ মোট ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া গুলবাহার শ্যামলী খান ম্যাটারনিটি ক্লিনিক কেয়ার ডিজিটাল হাসপাতাল (প্রা:), সান মেডিকেল সেন্টার ও সিটি প্যাথ ফার্মেসী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড ডায়াগন্টিক সেন্টার এর কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সিলগালা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় যেসব প্রতিষ্ঠান গুলো, আব্দুল হাই ফাউন্ডেশন মেডিকেল সেন্টার,কচুয়া সিটিপ্যাথ ডিজিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, সান মেডিকেল সেন্টার,সেনস ফিজিওথেরাপী এন্ড রিহেবিলিটেশন সেন্টার,মহিউদ্দিন ডিজিটাল সেন্টার, মনোয়ার মেডিকেল সেন্টার, টাওয়ার হাসপিটাল, সিটি মেডিকেল হসপিটাল ও শ্যামলী খান ম্যাটারনিটি ক্লিনিক।
তন্মধ্যে মহিউদ্দিন ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টারে মেয়াদ উর্ত্তীন ঔষুধ রাখা,সিটি মেডিকেলে বৈধ কোনো কাগজপত্র ও ওটি রেজিস্টার না থাকায়, শ্যামলী খান ম্যাটারনিটি ক্লিনিকের ভিতরে কোনো লোকজন নেই ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কর্মকর্তারা। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস ও কচুয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।