আসন্ন ঈদে পদ্মা সেতুতে বাইক উন্মুক্ত এবং সকল মহাসড়ক-সেতুতে বাইকলেন-এর দাবিতে ‘ সমাবেশ ও বাইক র্যালী’ ৬ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেভ দ্য রোড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম। প্রধান বক্তা ছিলেন মহাসচিব শান্তা ফারজানা। প্রায় ৪০ লক্ষ বাইকারের ট্যাক্স-ভ্যাট-লাইসেন্স ফিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা হালাল করতে তাদেরকে দুর্ঘটনামুক্ত পথচলার গ্যারান্টি দিতে অনতিবিলম্বে বাইক লেন-এর দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল মল্লিক, মো. রিয়াদ, মো. উজ্জল. মো. মুরাদ, মো. মিরাজ, মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
এসময় চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম বলেন, বাইকারদের জন্য বাইক লেন হলে পথ দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। সভাপতির বক্তব্যে মোমিন মেহেদী বলেন, দেশে সড়কপথকে দুর্ঘটনামুক্ত করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক মিনিটের ব্যাপার. তিনি নির্দেশনা দিলেই বাইক লেন হবে, আর বাইক লেন হলেই সড়কপথ থাকবে দুর্ঘটনামুক্ত। মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, নির্মমভাবে বাইকারদের জীবন রক্ষার জন্য বাইক লেন, কঠোর নির্দেশনা ও পুলিশ-প্রশাসন-সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। রক্ত পানি করা টাকায় যারা বাইক ক্রয় করেন, অনুমোদন নেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেন এবং সরকারের সকল ট্যাক্স-ভ্যাট পরিশোধ করেন, তাদেরকে কখনোই নিষিদ্ধ করা যাবে না। সড়ক-মহাসড়ক- সেতুতে বাইক লেন বাস্তবায়নের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল উন্মুক্ত করলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। অতএব, দরকার বাইক লেন, দরকার বাইকারদের কথা ভেবে উদ্ভট সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ; সংশ্লিষ্টদের প্রতি বাইকার বান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে আবারো বাইক লেন কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।