রাজবাড়ীর পাংশার অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ইটের খোয়া ভর্তি বাটাহাম্বার সাথে সাটল ট্রেনের সংঘর্ষে রেলওয়েতে কর্মরত এক কর্মচারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও দুইটি অটোভ্যান ভাংচুর ও একটি ছাগল মারা যায়।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় পাংশা পৌর শহরের সত্যজিৎপুর এলাকার অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পোড়াদাহ-দৌলৎদিয়া রুটে সাময়ীক সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
আহত বাটাহাম্বা চালক পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের চৈতাগ্রামের শমসরে আলী মোল্লার ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৮), বাটাহাম্বার হেলপার একই গ্রামের মসলেম সরদারের ছেলে রিহাদ সরদার (২৭), ও ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার দৈইশালা গ্রামের আছমত আলী মোল্লার ছেলে মোঃ জুলহাস মোল্লা (৩২)।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, দৌলৎদিয়া থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়ার পোড়াদাহ গামী একটি সাটল ট্রেন ঘটানা স্থলে পৌছালে বাটাহাম্বা চালক অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হতে যায়। এ সময় দ্রুতগতির সাটল ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে বাটাহাম্বাটি ট্রেনের সাথে আটকে যায় এবং ট্রেনটি বাটাহাম্বাটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার নিয়ে যায়। এতে বাটাহাম্বাটি দমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে ট্রেন থামালে আটকে থাকা বাটাহাম্বাটি অপসারণ করা হয় এবং চালককে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা। এসময় বাটাহাম্বার আঘাতে আধা কিলোমিটারের মধ্যে রেল লাইনের পাশে থাকা দুইটি ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান ভেঙে যায় ও একটি ছাগল মারা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়ীক্তরত চিকিৎসক ডা. সোমা প্রামানিক জানান, খায়রুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপার্ট করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জুলহাস মোল্লা জানান, তিনি কালুখালী রেলওয়ে ষ্টেশনে কর্মরত। অফিসের প্রয়োজনীয় কজে ট্রেনের ইঞ্জিন বগির সামনে চরে পাংশায় জাচ্ছিলেন। আহদ রিহাদ সরদার স্থানীয় একটি ফার্মেসির দোকান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জানান, আমারা ৯৯৯ এর ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পাই এবং সরেজমিনে গিয়ে স্থানীদের সহযোগীতার রেলপথ ক্লিয়ার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে দেই। অন্য বিষয়গুলো রেলওয়ে পুলিশ দেখবে।