ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। তবে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ বলেছে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন মজুদ রয়েছে,সব রোগীকে সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
শয্যা সংকটের কারণে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক লোক। ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। ওষুধের সংকট না থাকলেও শয্যা সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সরেজমিনে হাসপাতালের নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, শয্যা ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তীব্র গরমে চলতি মাসে ডায়রিয়া সংক্রমণ, রোগীর সংখ্যা ও চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সরাইল সদর, পানিশ^র, অরুয়াইল,পাকশিমুল, শাহজাদাপুর ইউনিয়নে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। চলতি মাসের শুরুতেই সরাইল ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ৯টি ইউনিয়নে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, কমিউনিটি ক্লিনিক্সে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে।
আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার লিটন কর্মকার জানান, ৪০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নোমান মিয়া বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব কমতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপ একটু বেশি। হাসপাতালে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ভর্তি হলেও কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া, আমাশয়জনিত রোগ ও পেটব্যথা নিয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন,ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে, প্রচুর পানি ও স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে। টিউব ওয়েল থেকে বিশুদ্ধ পানি না উঠায় বিশুদ্ধ অভাবে ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে এবং তীব্র গরমে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। মানুষ অস্বাস্থ্যকর পানি পান এবং গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালেই প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন।