লালমনিরহাট শ্রমিক ইউনিয়নের দুই গ্রুপের দ্বন্দের কারনে বেশ কয়েকদিন গোটা জেলায় অস্থিতিছিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
দ্বন্দ্ব নিরসন না হওয়ায় দির্ঘদিন শান্ত থাকার পর আবারও রবিন হোসেন বাপ্পি নামে এক শ্রমিক নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ছে প্রতিপক্ষ আমিনুল, বুলবুল গ্রুপের কয়েকজন সমর্থক।
এ ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরীফ খাঁন নামে এক শ্রমিককে আটক করে।
বুধবার(১৩ এপ্রিল) বেলা তিনটার দিকে শ্রমিক নেতা রবিন হোসেন বাপ্পি রিক্সা যোগে ঢাকা নাইটকোচ বাসস্টান অতিক্রম করার সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের কয়েকজন সমর্থক তর উপর হামলা চালায়।
রবিন হোসেন বাপ্পি বলেন, দুপুরের পর আমি আমার ঢাকা বাস টিকিট কাউন্টার যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে ঢাকা বাসস্টান্ডের সামনে যাওয়া মাত্রই পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বুলবুলের ছোট ভাই রতন, তার ছেলে অয়ন ও শ্রমিক শরীফ খাঁনসহ ৪/৫ জন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। পরে আমি নিজেকে বাঁচাতে মিশনমোড় গোল চত্বরে পালিয়ে আসি। ততোক্ষণে তারা আমার হাত ও বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিনের পুরাতন কমিটি দিয়ে চলছে লালমনিরহাট বাস মিনিবাস শ্রমিক সংগঠন। পুরাতন কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সম্পাদক বুলবুল শ্রমিকদের কার্যালয়ের জন্য ক্রয় করা জমি গোপনে বিক্রি করে দেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারন শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরী হয় এবং দুইটি ভাগে বিভক্ত হয় শ্রমিকরা। পুরাতন ও মেয়াদত্তীর্ন কমিটি বিলুপ্তের দাবিতে দুই পক্ষের নানা কর্মসূচি ও একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
দ্বন্দ্ব নিরসন না হওয়ায় দীর্ঘদিন শান্ত থাকা লালমনিরহাট জেলা শহর আজ আবারও শ্রমিক নেতা রবিন হোসেন বাপ্পির উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে শ্রমিক নেতা রবিন হোসেন বাপ্পি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় বাপ্পি লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান, ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে তিনি নিজেই পুলিশ ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করেন এবং ঘটনাস্থলে থেকে শরীফ খাঁন নামে একজনকে আটক করা হয়।