লালমনিরহাটের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে দশ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা দায়রা জজ মোঃ মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। এছাড়াও দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দন্ড দেওয়া হয়েছে।
অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, কালীগঞ্জ থানার মুশরত মদাতী এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র হাসান আলী, একই এলাকার আব্দুল জলীলের পুত্র আসমত আলী। এছাড়াও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১০ বছর কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, এই দুজন সহ কালীগঞ্জ উপজেলার চরভোটমারী এলাকার মুনছার আলীর পুত্র শাফিউল ইসলাম, কালীগঞ্জের মুশরাত মদাতী এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র নাইম মিস্টার এবং একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র আলী হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখ র্যাব-১৩ সন্ধার দিকে কালীগঞ্জের মুশরত মদাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ি থেকে নাশকতামূলক গোপন বৈঠক করাকালীন নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ওই পাঁচ সদস্যকে আটক করে।
এ সময় হাসান আলী ও আসমত আলীর কাছ থেকে বিদেশী পিস্তল, ফায়ারিং পিন ও টিগারযুক্ত ১ টি ম্যাগাজিন ও ২ টি তাজা গুলি উদ্ধার করে।
পরে দীর্ঘ সময় ধরে মামলার স্বাক্ষী ও প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে আজ মঙ্গলবার লালমনিরহাটের বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা দায়রা জজ ও বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান হাসান আলী ও আসমত আলীকে অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ওই দুইজন সহ শাফিউল ইসলাম, নাইম মিস্টার এবং আলী হোসেনকে দশ বছর কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) আকমল হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের দুইজনকে অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন ও পাঁচজনকে বিস্ফোরক আইনে দশ বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।