রাজবাড়ী জেলার এক মাত্র প্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল আহম্মদ আলী মেমোরিয়াল অরফ্যান্স ডিসএ্যাবল্ড স্কুল এন্ড কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কতিপয় কিছু লোক বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।
ব্যক্তি উদ্দোগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৩ বছরেই রাজবাড়ী জেলা সহ পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলায় সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে ৭৫ জন এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের শিক্ষাদানে ২৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক কর্ম কান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম স্কুলটির জমি ভরাটের জন্য দেড় লক্ষ টাকা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খোদেজা নাসরিন আক্তার ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন।
কতিপয় কিছু নামধারী সাংবাদিক ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কথা বলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধু তাই নয় স্কুলের প্যাড ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের নিয়োগ ও দিচ্ছে তারা। আর তাদের এই সকল অপকর্ম হালাল করতে প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে দূরনিতি আক্ষা দিয়ে প্রচার করছে সংবাদ। তাদের প্রচারিত সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার বক্তব্য না নিয়েই দেওয়া হয়েছে তার বক্তব্য। এখানেই শেষ নয় তাদের সার্থ হাচিল না হওয়ায় থানায় এসে নামধারী সাংবাদিক বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে করে লিখিত অভিযোগ।
এ সকল বিষয়ে আহম্মদ আলী মেমোরিয়াল অরফ্যান্স ডিসএ্যাবল্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আল মামুন সিদ্দিকী বলেন, রাকিবুল ইসলাম রাফি নামের এক সাংবাদিক বিভিন্ন সময় আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসে। এক দিন সে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার এক রেকর্ড শুনান। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তাকে বলতে শোনা যায় ওই প্রতিষ্ঠান নিজেদের উদ্দোগে ভালো কাজ করে চলেছে। আপনি পারলে সাহায্য করেন। এই কথা প্রেক্ষিতে রাফি আমাকে বলে আপনার প্রতিষ্ঠানের একটা শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন দ্যা ডেলি স্টার পত্রিকায় দিলে প্রতিষ্ঠানে সরকারি আর্থিক সাহায্য পাবেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানে যেহেতু কোন আর্থিক সাহায্য পাই না সেহেতু তার কথা রাজি হয়ে তাকে ২০ হাজার টাকা দেই। তবে আজ অব্দি সে কোন বিজ্ঞাপন প্রকাশের পত্রিকা দেই নাই। এর মাঝে সে আমার প্রতিষ্ঠানের রহিমা খাতুন সাথী নামের এক জন কর্মীকে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ে করে। যদিও এই সাথীর ৪/৫ বছরের একটা সন্তান আছে। এখনো আগের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নাই। শুধু তাই নয় রাফি আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করে নিজেই নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন দায় চাপাচ্ছে আমার উপর। বিভিন্ন সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কথা বলে স্কুলে লোক নিয়ে আসে চাকরি দেবার কথা বলতে। ইদানিং দুই এমপি প্রতিষ্ঠানের মাটি ভরাটের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে। এই কাজ দেখভাল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। বাকি টাকা এখনো না পাওয়ায় কাজ করা হচ্ছে না। এছাড়া রাফি তার প্রকাশ করা সংবাদে উল্লেখ করছে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা। যে প্রতিষ্ঠানে কোন সরকারি অর্থ বরাদ্দ আসে না। সেখানে কি করে কোন টাকা হাতিয়ে নিলাম।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, আমি রাফির সাথে কাউকে চাকরি জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে পাঠাই নাই৷
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ওই নিউজে আমার যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা আমার দেওয়া না। মুলত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসলে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
উল্লেখ্য, এই নামধারী সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাফি বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ কোটে মামলা হয়েছে। সে এর আগে একাধিক বিবাহ করেছে।