বর্তমান সময়ে তুলনামূলকভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহতা থেকে অগ্রগতির দিকে রয়েছে রাজশাহী জেলা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিলেও যা বাস্তবায়ন পর্যায়ে গরিমোষী দেখা যাচ্ছে। এখন থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে রাজশাহী জেলায় প্রায় ৫ হাজার জলাশয় ছিল। দখলদারদের আগ্রাসনে কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ২ শতাধিক জলাশয়ে। পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন জলবায়ু পরিবর্তন নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করছে।
গত ১২ নভেম্বর ২০২২ ইং শনিবার সন্ধ্যায় সবুজ আন্দোলন রাজশাহী জেলা কমিটির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার এবং মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার জিয়া উদ্দিন আহমেদকে আহবায়ক ও এনজিও ব্যক্তিত্ব আখতারুল ইসলাম খন্দকারকে সদস্য সচিব করে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
যুগ্ম আহব্বায়েক হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ, ইঞ্জিনিয়ার আশিকুর রসূল পিয়াল, ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান রাকিব, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, শারমিন আক্তার জুঁই, ডাক্তার আমানুল্লাহ বিন আক্তার আবিদ, শারমিন সুলতানা, শামাউল ইসলাম, মোঃ রুহুল ইসলাম। সদস্যরা হলেন নাট্যকার শাহারিয়ার কামাল, ইঞ্জিনিয়ার মন্ডল আতিকুল হক, ডাক্তার খন্দকার মহাইমিনুর রহমান, আয়েশা আক্তার মৃত্তিকা, শফিকুল ইসলাম, কাওসার আলী, সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, স্নিগ্ধা আফরিন মুক্তা, মোঃ আশফাকুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন লিপি, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, আব্দুল মালেক সরকার, দেওয়ান আব্দুর রহমান, উম্মে হামিদা, মোঃ মনজুর রহমান, রোকেয়া খাতুন, শাহাদাত হোসেন পিন্টু, মিনারুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন, আলমগীর হোসেন, অনন্যা আফরিন, জুখার দুদায়েব, মোছাঃ দেলোয়ারা সাঈদা প্রমূখ।
আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হবে বিগত ৫০ বছরে বিলীন হওয়া ৫ হাজার জলাশয় পুনরুদ্ধার। রাজশাহী জেলার পদ্মা নদীর ভাঙ্গন বন্ধ এবং খনন কাজের জন্য জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সদস্য সচিব বলেন, ২৫ ভাগ বনায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতি দ্রুত প্রত্যেকটি উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে। এজন্য আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
নবগঠিত রাজশাহী জেলা কমিটিকে সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানানো হয়।
এই বিভাগের আরও খবর....