রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন বিশ্বাস কে সামাজিক ভাবে হেয় করতে একটি চক্র আর্থিক লেনদেনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। তবে জালাল উদ্দিন বিশ্বাস আর্থিক লেনদেনের ভিডিওটি চাঁদাবাজীর নয় দাবী করে গত ১০ই জুন পাংশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র ডিসক্রিপশনে জালাল উদ্দিন বিশ্বাস উপজেলা পরিষদের নিজ কক্ষে বসে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য পাংশা থানা পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ভিডিওটি যে আর্থিক লেনদেনের তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। ভিডিওটিতে একজন নারীর কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘টাকাটা কিন্তু আমি মনের থেকে দিলাম না। আমার অনেক কষ্টের টাকা। এই টাকাটা যে এভাবে নিচ্ছেন, আমি আখেরাতেও এই টাকার দাবী ধরে রাখবো।’ তবে কথা শোনা গেলেও ভিডিওতে ওই নারীকে দেখা যায়নি।
তবে এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, আমি ২০২১ সালের ২৯শে জুন জেলা পরিষদ থেকে পাংশা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ৩ নং খতিয়ানের ৩২৪ নং দাগের ৫ শতাংশ জমি লীজ নিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাটি ভরাটসহ কিছু কাজ করি। পরে জানতে পারি ওই জমি ২০২১ সালের ১৫ই নভেম্বর তারিখে সৌদি প্রবাসী জনৈক মাসুদ মিয়ার নামে লীজ দিয়েছে জেলা পরিষদ। এমতাবস্থায় গত ডিসেম্বরে (২০২১) আমাদের দুই পক্ষকে জেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে আমাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ওই দাগের পূর্ব পাশে সমপরিমাণ জমি আমাকে বুঝিয়া দিবে বলে জেলা পরিষদ ঘোষণা দেয়। এ সময় সৌদি প্রবাসী মাসুদ মিয়ার স্ত্রী লাকি খাতুন, তার বড় ভাই তোফায়েল ও ছোট ভাই ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য কিছু সন্ত্রাসী ঐ মহিলার এই ধরনের কথা রেকর্ড করে এডিটিং করে টিকটক ও ফেসবুকে ছড়াচ্ছে। যে সকল ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি ছড়িয়েছে-এর ৭টি আইডি চিহ্নিত করে আমি পাংশা থানায় একটি জিডি করেছি। খুব শীগ্রই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করবো।
পাংশা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জিডির বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।