নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত হাজার হাজার কৃষকের ট্র্যাক্টর প্যারেড ঘিরে রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লির আইটিও (আয়কর ভবন) চত্বর।
বিক্ষোভরত কৃষকরা পুলিশের লাঠি আর কাঁদানে গ্যাসের মধ্য দিয়ে ঢুকে পড়েছে দিল্লি প্রাণকেন্দ্রে এবং ঐতিহাসিক লাল কেল্লায়। সেখানে তারা উড়িয়ে দিয়েছে শিখ ধর্মের প্রতীক খালসা পতাকা।
আজ মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ড সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে।
লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে কৃষকদের। এ সময় কয়েকজন আন্দোলনকারী বেপরোয়া ট্র্যাক্টর চালিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে।
বিবিসি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘নতুন বাজার বান্ধব’ সংস্কারের বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাস অন্যতম দীর্ঘ এই কৃষক আন্দোলন চলছে প্রায় দুই মাস ধরে। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কিন্তু কৃষকরা বলছে তারা আইনটির বাতিল চায়।
কয়েক দফা আলোচনার পর পুলিশ মঙ্গলবারের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল। শর্ত ছিল তারা কোনোভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটাবে না।
দিল্লির ছয়টি প্রবেশপথ থেকে কর্মসূচি শুরুর কথা ছিলো কৃষকদের। পুলিশ এর সবগুলোই অবরোধ করে রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেয়। কিন্তু সেই রুট ভেঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় কৃষকরা। এক পর্যায়ে একদল কৃষক মুঘল শাসকদের তৈরি লাল কেল্লা কমপ্লেক্সে পৌঁছে যায়। তার স্তম্ভ বেয়ে উঠে খালসা পতাকা উড়িয়ে দেয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকাটিতে হাত দেয়নি। যে আইন নিয়ে কৃষকরা এতো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাতে কৃষিকে উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থার আওতায় নেয়া হয়েছে আর এটিই কৃষকদের ক্ষুব্ধ করেছে। এর আগে দিল্লির সীমান্তে প্রায় দু মাস অবস্থান ধর্মঘট করেছিলো কৃষকরা।