রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডীপুরের মোঃ এনামুল হক ও আমোদপুরের আব্দুস সালাম ও চক আহম্মদপুরের আব্দুল কুদ্দুস ৩ বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর প্রদর্শনী করছেন। মুজিবশতবর্ষকে সামনে রেখে এই জাত ২০২১ সালে অবমুক্ত করা হয়। এই ধানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি জিংক সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল, ২৭.৬ পিপিএম জিংক আছে, আমরা জানি জিংক মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একজন সুস্থ সবল প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম, প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ৯.০ মিলিগ্রাম এবং বাচ্চাদের সুস্থ বিকাশের জন্য প্রায় ৪.৯ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন। জিংক এর অভাবে সহজেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়, মানুষ খর্বাকৃতির হয় জিংকের অভাবে। এমনকি বন্ধ্যাত্ব এর সমস্যার জন্যও জিংকের অভাব জনিত প্রভাব কাজ করে।
এই জাতের ধান ১৪৫ দিনে কাটা যায়, চাল মাঝারি চিকন,ভাত ঝরঝরে। ফলন ৮.৫ টন/হেক্টর বা বিঘা প্রতি ৩০ মণের মত।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, রাজস্ব খাতের অর্থায়ন এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহীর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই প্রদর্শনী তিনটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। কৃষকদের এ জাত সম্পর্কে প্রশিক্ষণ, বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই জাতের বীজের সংরক্ষণ করে আগামী বছর কৃষকদের মাঝে সম্প্রসারণ করা হবে।
এই বিভাগের আরও খবর....