রাজশাহীর বাঘার কৃতি সন্তান জেলা আওয়ামীলীগের সহ:সভাপতি সদ্য প্রয়াত আমানুল হাসান দুদুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে সাবেক ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় সানোয়ার হোসেন সুরূজের সঞ্চলনায় স্মৃতিচারণ পূর্বক বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, জেলা আ.লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী,নিহতের বড়ভাই সাবেক অধ্যক্ষ এনামুল হক ঝুন্টু
আব্দুল গনি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আঃ সামাদ, শাহদৌলা সরকারি কলেজের অধ্যাপক মোজ্জাম্মেল হক,
অধ্যক্ষ সানোয়ার হোসেন,রাধাকান্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান,বাঘা রহমতুল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ারুল ইসলাম মামুন,
উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোকাদ্দেস, প্রমুখ।
স্বরন সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তজুমদ্দিন শেখ, উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোকাদ্দেস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান রবি, মাইনুল ইসলাম মুক্তাসহ আরও অনেকে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা, ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সুলতান আহমেদ।
এছাড়াও দোয়া অনুষ্ঠানে বাঘার প্রয়াত রাজনীতিবিদ শিক্ষকসহ ৫২’র ভাষা আন্দোলনে, ৭১’র স্বাধিনতা যুদ্ধে ও ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট এবং ৩রা নভেম্বরে কারা অভ্যন্তরে নিহত সকল শহীদ আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৩রা ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)আওয়ামীলীগের প্রবীন এই নেতা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
তাঁর গ্রামের বাড়ি বাঘা উপজেলার নারায়ণপুরে। ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত কম্পানি পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। শেষ জীবনে তিনি রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা মোড়ের বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী,পুত্রবধু, নাতিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।