স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধিনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর বাঘা পৌরসভায় পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন প্রকল্পের ড্রেন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। বাঘা বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বাঘা বাজারের পূর্ব বটতলা পর্যন্ত ১ হাজার ৭শত ৮৪ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
জিওবি, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবির অর্থায়নে কাজটি বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক তৃতীয়াংশ কাজও শেষ হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে কাজ শুরু থেকেই সরকারি রাস্তার সীমানায় অবৈধভাবে দোকান, মার্কেট উচ্ছেদ না করে মূল রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, সিডুইল নির্দেশনা অমান্য, এমন নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ উঠে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। একের পর এক অভিযোগের ফলে সঠিক সিমানায় ড্রেন নির্মানের আদেশ দিয়ে পত্রও দেন পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকৌশলী। ওই পত্রের পর মাঝে কাজ বন্ধ থাকলেও কিছুদিন বাদে রহস্যজনকভাবে পুনরায় একই স্থানে ড্রেন নির্মানের কাজ শুরু হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগে শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ড্রেনের উপরিভাগ ( স্লাব অংশ) ঢালাই দেয়া বৃহস্পতিবার। পরদিন ( আজ) শুক্রবার অধিকাংশ যায়গায় ফাটল ধরেছে। এতে করে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাদের অভিযোগ অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারা ভাবে ড্রেনের কাজ হচ্ছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা। অনেকেই আবার ফেটে যাওয়া অংশের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কাজের স্থানে সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
তবে এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার প্রকৌশলী মুকুল হোসেন মুঠোফোনে জানান, সঠিকভাবে ড্রেন নির্মানের জন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কি কারনে ড্রেনের উপরিভাগে ফাটল ধরেছে এই মুহুর্তে বলতে পারছিনা। আগামীকাল (শনিবার) সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সাইট সুপারভাইজার দিপক কুমার রায়ের এবং
রাজশাহীর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হাকিমের মুঠোফোনে কল করে রিসিভ না হওয়ায় তাঁদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সদ্য নির্বাচিত বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী বলেন, সড়কের জায়গা দখলমুক্ত করে জনস্বার্থে সরকারি সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ড্রেনের কাজ করার জন্য ঠিকাদার কে অবগত করেছি।এছাড়াও সিডিউল মোতাবেক কাজ করার নির্দেশনাও দিয়েছি। এর পরেও যদি কাজের মান খারাপ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এই বিভাগের আরও খবর....