রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে খারাব ব্যবহারের অভিযোগ এনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ ৩ সদস্যের কমিটি গঠন শেষ তদন্ত করা হলেও ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
যদিও অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তখন থেকেই বলা হয়েছিলো যাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি হয়েছে তারা অভিযোগের বিষয়ে কিছুই যানতেন না।
তদন্ত কমিটির দেওয়া নোটিশে বলা অভিযোগ কারী আব্দুর রশিদ ও কুরবান আলী সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেয়নি।বরং তারা বলেন কারা আমাদের নাম ব্যবহার করেছে বিষয়টি জানতে চাই।
পাংশা উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত শিক্ষকরা আক্ষেপ করে বলেছেন ব্যাক্তিগত শত্রুতার জের ধরে শিক্ষকদের সাথে এরুপ করা হচ্ছে,শিক্ষকদের হয়রানী আমরা মেনে নিব না, এর পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে হয়রানী করার লক্ষে আমরা যাদের অবিভাবক মনে করি তারাই এসব বানোয়াটি করে অভিযোগ দিয়েছিল।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাক সমিতির সভাপতির জড়িত থাকার যে গুঞ্জন উঠেছে সেই বিষয়ে জানতে জহুরুল হক এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি ওই অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তিনি সরাসরি সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে চায়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে.এম নজরুল ইসলাম এর কাছে তদন্তের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন আমি তদন্তের ফলাফল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো। আপনাদের কাছে বলতে বাধ্য নই।