পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জে এম আর হাইস্কুলের সামনে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে স্কুলের ছাত্রীদের উত্যক্ত করাসহ নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করার সময় এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা পাশর্^বর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৪ জন বখাটেকে আটক করেছে।
এসময় বখাটেদের মারপিটে স্কুলের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহতরা হলো চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের মনির হোসেন (১৬) ও আরিফ হোসেন (১৬)। আটক বখাটেদের চাটমোহর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বখাটেরা হলো ভাঙ্গুড়া উপজেলার মেন্দা কুঠিপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে আলমাছ উদ্দিন (১৭) ও মোঃ রাব্বি (১৮),উত্তর সারুটিয়া গ্রামের আঃ মমিনের ছেলে মিজানুর রহমান (১৬) ও ফজলুল হকের ছেলে ইমরান (১৭),সারুটিয়া গ্রামের মুন্নাফ মোল্লার ছেলে রাজিব (১৮),ভাঙ্গুড়া মসজিদপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে পিয়ার হাসান (১৬),ভাঙ্গুড়া কালিবাড়ির আঃ রাজ্জাকের ছেলে রাজু (১৭),আজমত আলীর ছেলে সোহাগ আলী (২৪),রইজ উদ্দিনের ছেলে শাহিনুর (২৪),সমশের আলীর ছেলে মোঃ জনি (১৮) ও সজিব (২৪),আ্য়ুব আলীর ছেলে শুভ (১৭),ভাঙ্গুড়া হাসপাতালপাড়ার আঃ কুদ্দুসের ছেলে রনি (১৮) ও ভাঙ্গুড়া বাজারের আঃ জব্বারের ছেলে জিহাদ (১৭)।
গুনাইগাছা ইউপি চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু ও এলাকাবাসী জানান,বেশ কিছুদিন ধরেই পাশের ভাঙ্গুড়া উপজেলার বেশ কিছু উঠতি বয়সী ছেলে জে এম আর হাইস্কুলের সামনে স্কুল শুরুর আগে ও পরে স্কুলের ছাত্রীদের নানাভাবে উত্যক্ত করতো।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কিছু বখাটে স্কুলের সামনে এসে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করলে ছাত্ররা প্রতিবাদ করে। এসময় বখাটেরা ২ ছাত্রকে মারপিট করে। খবর পেয়ে স্কুলের ছাত্ররা ও এলাকাবাসী বখাটেদের ঘিরে ফেলে এবং ১৪ জনকে আটক করে।
ইউপি চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু বলেন,আমার মেয়েও এই স্কুলে পড়ে। ইভটিজিংকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে এসে সমস্যা করছে। আমি খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। ইউপি চেয়ারম্যান বখাটেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছের উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বখাটেদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পেতনা। মঙ্গলবার এলাকাবাসীর সহায়তায় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে।
চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান,আটককৃতদের অধিকাংশই আন্ডারএজ। তাদের সংশোধন করার জন্য সংশোধনাগারে কিংবা অভিভঅবকদের জিম্মায় দেওয়া যেতে পারে। তারপরও অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।