পাবনার চাটমোহরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির সুবিধাভোগী শ্রমিকরা কাজ শেষ হওয়ার পরও তাদের মজুরি পাচ্ছেন না। ফলে দরিদ্র শ্রমিকেরা এই দূর্মূল্যের বাজারে চরম বিপাকে পড়েছেন।
চাটমোহর উপজেলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১ম পর্যায়ের ৪৫টি প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ২ কোটি ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রতিদিন ১ হাজার ২৭৫ জন শ্রমিক এই কর্মসূচীতে কাজ করেছে। এবারে প্রথমবারের মতো শ্রমিকদের মোবাইল ফোনে বিকাশের মাধ্যমে মজুরী পরিশোধ করার কথা। শ্রমিকের মজুরী প্রতিদিন ৪০০ টাকা। গত ২৩ মার্চ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে। প্রথম পর্যায়ের মজুরী এখনো পরিশোধ করা হয়নি। মজুরী না পেয়ে গত রোববার বিলচলন ইউনিয়নে নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম তাদের আশ^স্ত করে বলেন,সকলেই মজুরী পাবেন। বিলম্ব হচ্ছে বিকাশের কারণে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে,বিগত বছরগুলোতে সপ্তাহে বৃহস্পতিবার শ্রমিকেরা ব্যাংক থেকে তাদের নির্ধারিত মজুরি উত্তোলন করতেন। এ বছর শ্রমিকদের মজুরি বিকাশের মাধ্যমে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিরুপণে তালিকা তৈরী হওয়ায় শ্রমিকদের মোট ৪০ কর্ম দিবসের কাজ শেষ হলেও সোমবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত উপজেলার ৪৩৫ জনকে মজুরি দেওয়া হয়নি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী মো.আমিরুল ইসলাম জানান, এ বছরে শ্রমিকদের মজুরি বিকাশের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়। কিন্তু বিকাশের কারণেই মজুরি দেওয়া বিলম্ব হচ্ছে। একই কথা বললেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম শামীম এহসান।
এদিকে এই প্রকল্পের সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে মর্মে অভিযোগও রয়েছে। ভূয়া শ্রমিক দেখিয়ে প্রকল্পে অর্ধেকেরও কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে এই অর্থ পকেটস্থ করার আয়োজন করা হয়েছে। কোন প্রকল্পেই নির্ধারিত শ্রমিক ছিলনা। স্বজনপ্রীতির অভিযোগও পাওয়া গেছে কোথাও কোথাও। চেয়ারম্যান ও মেম্বার পরস্পর যোগসাজসে প্রতিটি প্রকল্পেই ভুয়া শ্রমিকের নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান,অনিয়মের অভিযোগে কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে।