জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান বীর প্রতীক (৭৫) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি রোববার দুপুর ১:৪০ মিনিটে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্যতা ও বার্ধক্যে ভুগছিলেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যুতে ধানুয়া কামালপুর সহ পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বীর প্রতীক মতিউর রহমানের ছেলে গোলাম মোস্তফা মিষ্টার জানান, তার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধের সময় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তার বীরত্বের কারণে তাকে বীর প্রতীক খেতাপ প্রদান করা হয়।
বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪ জন বীর প্রতীকের মধ্যে তিনিও একজন। যুদ্ধাহত এই বীমুক্তিযোদ্ধার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী আগামিকাল (সোমবার) সকাল ৯ টায় জানাজা শেষে ধানুয়া ঈদ গাহ মাঠ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে , তিন মেয়ে ও নাতি নাতনি সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ , জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ, বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা, বকশীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ছামির সাত্তার, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জামালপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।