চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চালিত সিএনজি অটোরিকশার মালিককে থানায় প্রেরণের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএনজি চলাচল বন্ধ রেখেছে চালকরা। কারণ তিন শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় মালিককে থানায় প্রেরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে ও জিরো পয়েন্ট থেকে ১নং গেট পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রাখে তারা।
এর আগে সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে অভিযুক্ত চালক সিএনজি নিয়ে পলাতক থাকায় মালিককে হাটহাজারী থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি।
সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘তিন শিক্ষার্থী আর এক চালকের মধ্যে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় শুধুমাত্র সিএনজি চালককে দোষারোপ করে তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে আসতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সিএনজি চালক না আসলে মালিককে হাটহাজারী থানায় সোপর্দ করে কর্তৃপক্ষ। অহেতুক একজন সিএনজি মালিককে থানায় প্রেরণের প্রতিবাদে আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সিএনজি চালাবো না।’
এদিকে সিএনজি ধর্মঘটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিকল্প পরিবহণ না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও রিকশা বা টমটম গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না।
এজন্য অনেক শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে নির্ধারিত গন্তব্যে।