শেষ পর্যন্ত যুব প্যানেলের বঞ্চিত করে খুলনার পাইকগাছায় লস্কর কড়–লিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী হলেন ইউপি চেয়ারম্যান।
শুক্রবার চেয়ারম্যনের বরাত দিয়ে লস্কর গ্রামে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ মেরামতের কথা বলে মাইকিং করা হয়। বিকেলে সভায় চেয়ারম্যান কৌশলে রবিবারের পূর্ব নির্ধারিত সভাপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে। সভার এক পর্যায়ে তার নির্বাচনী সমর্থ সেলিমের প্রস্তাবে সে সভাপতি প্রার্থীতার কথা জানান দেন।
এ ঘটনায় হতবাক হয়েছেন লস্করের আপামর জনসাধারণ। স্থানীয়দের অভিযোগ যুব প্যানেলকে বঞ্চিত করে চেয়ারম্যান কি ভাবে সভাপতি প্রার্থী হলেন? এ নিয়ে গ্রামে রীতিমত বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
এদিকে গত ১৮ মে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের পর থেকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ৪ অভিভাবক সদস্যকে চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তুহিন তার সার্বক্ষণিক কর্মী দিনারের মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি তাদের মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে চেয়ারম্যান যুব প্যানেলের হয়ে কাজ করেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ পত্রিকায় এ নিয়ে লেখালেখি হলে বিভিন্ন জন পক্ষে-বিপক্ষে নানান মন্তব্য করেছিলেন।
নির্বাচন পূর্বে চেয়ারম্যান নিজে ঘোষণা করেন আমি লস্করের স্কুলের সভাপতি হতে আসেনি। উন্নয়নের স্বার্থে একজন যোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করা হোক এবং নির্বাচন নিরপেক্ষ হোক চেযারম্যান হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব পালন করা দরকার ততটুকু ভূমিকা রাখছি।
এ নির্বাচনে সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ ও ইউপি সদস্য এসএম মোফাজ্জল হোসেনের প্যানেল পরাজিত হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, পরজয়ের পিছনে টাকা দিয়ে ভোট ক্রয়ের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, আমি বলছিলাম সভাপতি হব না কিন্তু প্রার্থীরা চাইছে তাই সভাপতি প্রার্থী। অন্যান্য অভিযোগ সঠিক নয়।