বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

কুড়িগ্রামে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন ৮দিনে শেষ।

প্রতিবেদকের নাম / ৩০৪
নিউজ আপঃ বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩১ অপরাহ্ন

শহীদুল ইসলাম সাগর, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামে ঢাকা কেরানীগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে ফেরা ৬২জন ইটভাটা শ্রমিকদের ১৪দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ না করেই ৮দিনের মাথায় অবমুক্ত করে নিজনিজ বাড়িতে ফেরৎ পাঠালেন নাগেশ্বরী ইউএনও নুর আহম্মেদ মাছুম।

এই শ্রমিকদের গত ১৪ এপ্রিল পুলিশ পাহাড়ায় নাগেশ^রী ও ভুরুঙ্গামারী থানা হয়ে কচাকাটা পুলিশের সহায়তায় কচাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। নাগেশ^রী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তাদেরকে ২১ এপ্রিল বিকেলে অবমুক্ত করা হয় বলে জানান কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ। এই শ্রমিকদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পূর্ণ না করেই ৮দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেয়ায় ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হল ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৪ এপ্রিল ভোরে ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে ট্রাকযোগে আসা ৬২জন ইটভাটার শ্রমিককে কুড়িগ্রাম ধরলা ব্রীজে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদেরকে আটক করে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদেরকে কচাকাটা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখে উপজেলা প্রশাসন। এদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন শিশু ছিলো। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যাক্তিদের খাবারসহ দেখভালের দায়িদ্ব নেন কেদার ইউনিয়নের চেয়াম্যান মাহাবুবুর রহমান এবং কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল।

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ না করে আগেই অবমুক্ত করার ব্যাপারে কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনের অধিকাংশ আগেই পালিয়ে যায়। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে যে কয়েকজন ছিল তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশীদ জানান, কেউ পালায়নি ইউএনও স্যারের নির্দেশে সবাইকে একসাথে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডা: আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তাদের শরীরে কোভিড ১৯ উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাঁশি না থাকায় নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নাগেশ^রী ইউএনও’র নির্দেশে অবমুক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহম্মেদ মাছুম জানান, তাদেরকে ১১দিন রেখে কোন উপসর্গ না থাকায় অবমুক্ত করা হয়। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৮দিন কিনা আমি খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান জানান, যারা বাইরে থেকে আসবে তাদেরকে কমপক্ষে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কচাকাটায় সীমাবদ্ধতার কারণে তাদেরকে ৮দিন পর ছেড়ে দেয়ার কথা জেনেছি। তাদের বাকি ৭দিন বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বলা হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share