চাঁদপুরের কচুয়ায় জবাই করে ব্যবসায়ী আবুল বাসারকে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। কচুয়া থানার মামলা নং-০৩ তারিখ-০৪/০৪/২০২২ইং, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।
মামলা সংক্রান্তে কচুয়া কচুয়া পৌরসভাধীন কোয়া চাঁদপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আবুল বাসার (৩৮) কচুয়া বাজারে পশু হাসপাতাল সংলগ্ন ইকরা ভ্যারাইটিজ ষ্টোর ও বিকাশের দোকান দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করার সূত্রে বর্ণিত মামলার আসামী একই উপজেলার কড়ইয়া গ্রামের হাজী বাড়ির মোঃ ইব্রাহীম খলীলের ছেলে মোঃ সালেহ মুছা(২৩) কচুয়া বিশ্বরোড সংলগ্ন সাহেব আলী বাড়ীর পাশে মাছের আড়ৎ এর ব্যবসা করিত।
ব্যবসায়ীক কারনে ভিকটিম আবুল বাসারের সাথে আসামী মোঃ সালেহ মুছার পরিচয় হয়। সালেহ মুছা বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীক কারনে আবুল বাসার বিকাশের মাধ্যমে সালেহ মুছাকে ১,৮১,৫০০/-টাকা প্রদান করে। ভিকটিম আবুল বাসার বিকাশের দেওয়া টাকা আসামী সালেহ মুছার নিকট চাইতে গেলে বিভিন্ন তারিখ ও সময় দিয়ে ঘুড়াইতে থাকে। ০২ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে আবুল বাসারের সাথে বিবাদী সালেহ মুছার কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিবাদী সালেহ মুছা আবুল বাসারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিশ্বরোডে যাওয়ার জন্য বলে। আবুল বাসার সালেহ মুছার ফোন পাইয়া সরল বিশ্বাসে কচুয়া বিশ্বরোডে পৌঁছার পর থেকে ভিকটিম আবুল বাসারকে অনেক খোঁজাখুজি করে কোথাও না পাওয়া গেলে কচুয়া থানায় এসে নিখোঁজ ডায়েরী করে। পরবর্তীতে কচুয়া থানা পুলিশ ও আবুল বাসারের আত্মীয় স্বজন খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখে।
খোঁজাখুজির একপর্যায়ে জানা যায়, বিবাদী সালেহ মুছা তাহার অপরাপর সহযোগী সহ মটর সাইকেল যোগে তার মাছের আড়ৎ এর গুদাম ঘরে নিয়ে হাত পা, বাঁধিয়া ছোরা দিয়ে আবুল বাসারকে জবাই করে বস্তায় লাশ ভরে রাখে। ঐদিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা একটি পিকআপ যোগে আবুল বাসারের লাশ পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন সিঙ্গুলা নামক স্থানে পানিতে ফেলে দেয়। উক্ত ঘটনায় মৃত আবুল বাসারের স্ত্রী মোসাঃ ডলি আক্তার বাদী হয়ে লিখিত ভাবে এজাহার দায়ের করিলে সুত্রে বর্ণিত মামলা রুজ হয়।
মামলার এজাহারনামীয় আসামী সালেহ মুছাকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হয়।
আসামী সালেহ মুছাকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে আরো ৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন।