মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪ ধাপে পাংশা পৌর সভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫৫০ টি ঘর নির্মান করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। এরই মধ্যে ৪র্থ বারে ১২০ সুবিধাভূগী গৃহ হীনদের মধ্যে তাদের গৃহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনেকেই ঘর পেয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন।
যাদের কোন নিদৃষ্ঠ ঠিকানা ছিল না, কেউ অন্যের জমিতে বসবাস করত, কেউ বা রেলের পাশে আবার কেউ থাকতেন ভাড়া ঘরে এমনই ৫ শতাধীক পরিবার সমূহের মধ্যে সরকারী ঘর প্রদান করা হয়েছে পাংশা উপজেলায় । ইতি মধ্যে পাংশা উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেই ঘরের বাসিন্দারা কেমন আছেন তাদের দেখতে ছুটে গেলেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন তিনি শুনেন তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা।
এর আগে ২২ মার্চ (বুধবার) ভিডিও কনফারেস’র মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সকল নির্মানাধীন ঘরের উদ্বোধন করেন। পাংশা উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। ৪র্থ ধাপে পাংশা উপজেলায় ১২০ পরিবার তাদের ঘর বুঝে পেয়েছেন। এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি।
২ শতাংশ জমির উপর একটি ২ রুমের সেমি পাকা ঘর, আছে আধুনিক সুবিধাসমূহ, কারেন্ট রয়েছে, সড়কের পাশে এ প্রকল্প গুলো গড়ে তোলায় বিভিন্ন ভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ভূমিহীন মানুষ গুলোর।
পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নে ২২৮টি, কসবামাজাইল ইউনিয়নে ৪৯টি, মৌরাট ইউনিয়নে ৪২টি, হাবাসপুর ইউনিয়নে ৪২টি, বাহাদুপুরপুর ১৫টি, মাছপাড়া ০৮টি, বাবুপাড়া ১০টি, কলিমহর ৪৯টি, যশাই ১২টি ও পাংশা পৌর সভায় ১০২টি সর্ব মোট ৫৫০টি ঘর নির্মান করা হয়েছে ভূমিহীনদের জন্য। এ ঘর পেয়ে সকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন।